Tuesday, 04 August, 2015 09:52:11 PM
জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ৭মাস পর সানজিদা আক্তার শারমিন(১৪) নামের এক কিশোরীকে ফিরে পেল তার বাবা-মা। মঙ্গলবার বিকেলে বেসরকারী সামাজিক সংগঠন লিডো’র সহায়তায় কিশোরী সানজিদা আক্তার শারমিন তার বাবা-মা ফিরে পায়। এতে শারমিনের পিতা-মাতা খুশিতে মহা-আত্মহারা।
জানাগেছে, সানজিদা আক্তার শারমিন প্রায় ৭ মাস পূর্বে অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার ক’দিন পর শারমিন ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ঘুর ঘুর করা কালীন অসাবধনতা বশত রেলগাড়ীর নিচে পড়ে যায়।
এতে রেলের চাকায় শারমিনের ডান পায়ের কিছু অংশ কেটে যায়। সে রেল লাইনের উপর মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে লিডো’র (লোকাল এডুকেশন এন্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) রেসকিও টিমের সদস্যরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। এ দুর্ঘটনায় কিশোরী সানজিদা আক্তার শারমিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর শারমিন কে লিডো’র মোহাম্মদপুরের শান্তিঘরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে উন্নত চিকিৎসাসহ তার সার্বিক সেবাযতœ করা হয়। সম্প্রতি সানজিদা আক্তার শারমিন কিছুটা সুস্থ্য ও মানসিক ভারসাম্য ফিরে পেয়ে লিডো’র কর্মকর্তাদের নিকট তার জন্মস্থান ও পিতামাতার নাম বলে। পরে লিডো’র কর্মকর্তারা শারমিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক তার পরিচয় খুজে বের করে।
মঙ্গলবার বিকেলে (৪ আগষ্ট) লিডো’র নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী জনী শারমিন কে তার গ্রামের বাড়ী কচুয়ার গোবিন্দপুরে পিতা-মাতার নিকট হস্তান্তর করে।
শারমিনের পরিচয় খুজে বের করতে ও তার পিতামাতার নিকট তাকে হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা করেন-কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হোসেন। এদিকে দীর্ঘ ৭মাস পর প্রিয় সন্তানকে ফিরে পাওয়ায় লোকাল এডুকেশন এন্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো’র) কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জানান, সানজিদা আক্তার শারমিনের পরিবার।