Friday, 31 July, 2015 6:41:39 PM
কচুয়া করেসপন্ডেন্ট:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৫ম শ্রেণির নাবালিকা এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মিলন (২৩) উধাও হওয়ার দু’দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে অভিযুক্ত ওই লম্পট শিক্ষক।
জহিরুল ইসলাম একই গ্রামের সাকান মুন্সির ছেলে। স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ইকরার মা ঝর্ণা বেগম বাদী হয়ে গত শনিবার বিকেলে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। যার নং ১৩১ তারিখ ২৫/০৭/২০১৫ইং।
অভিযোগ ও স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দারাশাহী তুলপাই গ্রামের প্রবাসী মোস্তফা কামালের কন্যা ইকরা আক্তার (১১) দারাশাহী তুলপাই তমিজ উদ্দিন পাটোয়ারী কিন্ডার গার্টেনের ৫ম শ্রেনির ছাত্রী। আর লম্পট জহিরুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। সেই সুবাদে জহিরুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে স্কুলের পাশাপাশি বাড়ীতে গৃহ শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করাতো এবং বিভিন্ন সময় প্রেম প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যপ্ত করতো। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে জহিরুল ইসলাম- সুমাইয়া আক্তার ইকরাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ী থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।
পরে স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ইকরাকে নাটকীয়ভাবে তার মা ঝর্ণা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঝর্ণা বেগম জানিয়েছেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার আঃ হালিম ও মোড়ল আবু তাহের প্রধান তার মেয়েকে বাড়ীতে পৌছে দিয়েছেন। তবে সুমাইয়া আক্তার ইকরাকে তারা কোথায় পেয়েছেন তা বলতে পারেনি তারা।
স্থানীয় গ্রামবাসীর মনে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বহু অপকর্মের হোতা শিক্ষক নামের লম্পট জহিরুল ইসলাম মিলন একের পর এক অপরাধ করেও কি আইনের বাইরেই থেকে যাবে? নাকি ৫ম শ্রেনির নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উধাও হওয়ার অপরাধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হবে। এ প্রশ্ন এখন এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।