বৃহস্পতিবার সারাদেশের ন্যায় কচুয়ায় ২০১৮ সালের এইচএসসি ও আলিম সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কচুয়া উপজেলা ১৩টি মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর আলিম পরীক্ষায় মোট ৪৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।
এরমধ্যে পাস করেছে ২৫৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় মনপুরা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর ১৫ জন শিক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেে পাস করেছে মাত্র ৬ জন, শতকার পাসের হার ৪০%।
বিতারা আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে পাস করেছে ১২ জন, শতকার পাসের হার ৪৮% ও মেঘদাইর তাহেরীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ১৯জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৯জন, শতকার পাসের হার ৪৭.৩৮% পাস করে। ৩টি প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৫০ ভাগের নিচে ফলাফল অর্জন করে ফলাফল ভরাডুবি ঘটয়া।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই সব প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রধানসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবহেলার কারনেই শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিশেষ করে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাত ও অফিসের দেখিয়ে কচুয়ায়,বোর্ডে কারনে ও অকারনে বাহিরে ও পারিবারিক কাজে ঘুরে ফেরা করে।
আর এইসব কারনে শিক্ষার্থীরা মাসুল দিতে হচ্ছে বলে অভিভাবকগণ জানান। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তুলনামূলক শিক্ষার্থী দুর্বল ও অন্যান্য কারনে ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ
ফলাফল বিপর্যয় কারণ খুঁজে বের করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু