বাঁশ আর বেতকেই জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছে উপজেলার গুটি কয়েক মানুষ। এই বাঁশ আর বেতই বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশ আর বেতের তৈরি বিভিন্ন পন্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত গুটি কয়েক কারিগররা। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে সংক্রমন ও লকডাউনের কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব বাশঁ শিল্প আনা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে নিপুন কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
তবে কালের আর্বতনের সাথে সাথে বিশেষ বাঁশ শিল্প আর চোখে পড়ে না। একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও অপরদিকে অপ্রতুল ব্যবহার আর বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাঁশ শিল্প আজ হুমকির মুখে। বর্তমানে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৫টি স্থানে এসব বাঁশ শিল্পের দোকার রয়েছে।
এদিকে কচুয়ার পালাখাল ওবায়েদুল সিলিং হাউজের পরিচালক ওবায়েদুল হোসেন ও অন্যান্য কারিগররা জানান, এই বাঁশ শিল্প দিয়ে জাবার,ওরা,ছাই,সিলিং,ছালুন, ডিজিটাল সিলিংসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বানানো হয়। তবে বর্তমানে বাঁশ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে তাদের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ কাটছে।
তাই করোনা ভাইরাসের কারনে এক দিকে যেমন পন্য আমদানি করতে পারছে না অপর দিকে সামগ্রিক ভাবে কোনো অর্ডার পাচ্ছে না তারা। এতে করে কারিগররা নিজেদের জীবন জীবিকা পালনে হিমসিম খাচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব বাশঁ শিল্প উজ্জীবিত করা সম্ভব হবে বলে জানান কারিগররা।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২৯ জুন ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur