চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার উত্তর সীমান্তের বারৈয়ারা থেকে কচুয়া সদর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে কিছু জায়গার গর্ত ছোট পুকুরে রূপ নিয়েছে। এ ছাড়া পুকুর ও খালের পাশের কয়েকটি জায়গায় সড়ক দেবে গেছে। এই বেহাল সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কে বড় রকমের যানজট হলে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার যানবাহনগুলো ঢাকা যাতায়াতে বিকল্প সড়ক হিসেবে কচুয়া-গৌরীপুর সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। অথচ এই সড়কে খানাখন্দসহ সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের পোদ্দার পুকুর পাড়, কলাকোপা ভূঁইয়া প্রকল্প, সাজিরপাড় মসজিদ, তুলতুলীর মোড় ও বাইছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কের অংশ দেবে গেছে। সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৫০ ফুট সড়ক দেবে যাওয়া ছাড়াও প্রায় ২০০ গজ সড়ক চলাচলের প্রায় অনুপযোগী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাজিরপাড় মসজিদ সংলগ্নে দেবে যাওয়া সড়ক গত ৮ নভেম্বরে মিশুক নামের একটি গাড়ি পারাপার হতে গিয়ে উল্টে পাশের খালে পড়ে যায়। এতে মিশুকের চালক আহত হওয়াসহ বহন করা ২০-২২ হাজার টাকার ডিম নষ্ট হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত ধরে যানবাহন চলাচল করছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। শিগগিরই সড়কের দেবে যাওয়া অংশ ও সৃষ্টি হওয়া গর্ত মেরামত করা না হলে এ সড়কধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দা। এদিকে ২০১৯ সালে এ সড়কের মেরামত কাজ করা হয়েছে। মেরামত কাজ খুবই নিম্নমানের হওয়ায় দুই-আড়াই বছর যেতে না যেতেই সড়কটি দেবে যাচ্ছে ও গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
সাচার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনির হোসেন, স্থানীয় অধিবাসী শাহজাহান ও আরিফ হোসেন জানান, কচুয়া-গৌরীপুর সড়কের সাচারে পোদ্দার পুকুর পাড় অংশে দেবে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়ার কারণে এ অংশে প্রায়ই যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গত দুই মাসে ট্রাকসহ বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা উল্টে পড়ে বহন করা মালামাল সামগ্রী বিনষ্টসহ অন্তত ১৫-১৬ যাত্রী আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্লাহ ভূঁইয়া সড়ক দেবে যাওয়া ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সড়কের দেবে যাওয়া অংশে রাবিশ ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের হাতে একটি ছোট টেন্ডার রয়েছে। এই টেন্ডারের মাধ্যমে গর্তগুলোর মেরামতের কাজ করা হবে।’
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৬ নভেম্বর ২০২১