আগামী ২৮ মে ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১২ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ১৩ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
তবে নির্বাচনী মাঠে বিতারা ইউনিয়ন ব্যতীত প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একের অধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে। এ সব ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বাহিরে থেকেও চেয়ারম্যান পদে নিজের জয় প্রত্যাশা অনেক প্রার্থীর।
এবারের ইউপি নির্বাচনে কচুয়া উপজেলার পাথৈর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। তার কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ।
পূর্বসহদেবপুর ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইমাম হোসেন সোহাগ। একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি মো. বাবুল সর্দার।
পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে জোর প্রচারনায় নেমেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আ: সামাদ আজাদ। প্রচার প্রচারণায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন। প্রচার প্রচারণায় থেমে নেই।
উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মো. জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। বিগত কাউন্সিলে তিনি বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী মনোনীত হয়েছিলেন। সদর দক্ষিণ ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. জোবায়ের হোসেন।
গোহট উত্তর ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.সোহাগ মিয়া। এ ছাড়া গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহরিয়ার শাহিন।
প্রার্থীদের কেউ কেউ জানান- সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে চেয়ারম্যান পদে তারা নির্বাচিত হবেন ।
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৫৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষকের পদ শূন্য
জিসান আহমেদ নান্নু :
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৫৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক বিহীন চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। দিনের পর পর এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে। এছাড়া ৮৩ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয় গুলিতে চাহিদার বিপরীতে শিক্ষক কম থাকায় একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে-অন্যদিকে শিক্ষকদে বাড়তি শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে । ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পাঠদানের বাইরে প্রাইভেট পড়ায় মনোনিবেশ হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক শূন্য পদের বিদ্যালয়গুলি হচ্ছে- শুয়ারুল , বাইছারা . আটোমোড় ,বড়দৈল , উত্তর বড়দৈল , বারৈয়ারা , তেগুরিয়া , মাঝিগাছা , হরিপুর , সৈয়দপুর , আশারকোটা , মেঘদাইর , বক্সগঞ্জ , খিলমেহের, তুলপাই , কাদিরখিল , বরুচর , কচুয়া , মধুপুর , আয়মা , গুলবাহার , পূর্ব কালচোঁ , কহলথুড়ি , কুটিয়া-লক্ষ্মীপুর , কান্দিরপাড় , রহিমানগর , রাজাপুর , আশ্রাফপুর , বুধুন্ড, ও বড় তুলাগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়াও সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০ বিদ্যালয় প্রধানশিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মিনহাজ উদ্দীন জানান, প্রধানশিক্ষক পদের জটিলতা নিরসন ও সহকারী শিক্ষক পদ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই এ সব সমস্যার অবসান হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন কারণে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংকট রয়েছে। শিক্ষক সংকট সমাধানে কচুয়ার প্রাথমিক শিক্ষার মান শতভাগ উন্নীত করতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের প্রতি অনুরোধ রইল ।
কচুয়ার কড়ইয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে কাজ করার প্রত্যাশা।
জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া করেসপন্ডেন্ট [/author]
: আপডেট ০৯:৪৫ পিএম, ০৯ মে ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ