কচুয়ায় সংঘর্ষ গুলি, দখল ও বর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন

শনিবার (২৮ মে)  চাঁদপুরের কচুয়ায় উপজেলায় সংঘর্ষ, দখল, গুলিবর্ষণ, কেন্দ্র স্থগিত ও  মধ্য দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত  উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ১শ’২৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়াম্যান ও মেম্বারদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ও সংঘর্ষে অন্তত: ৫০ জন আহত হয়েছে ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন কেন্দ্রে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। বিশৃংখলা ও সংর্ঘষের ফলে অন্তত: ২০-২১টি কেন্দ্র সাময়িক ভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হলেও  পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে  ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

কচুয়ার সহদেবপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রহমান ভঁ’ইয়া ও আব্দুস সামাদ আজাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রসন্নকাপ কেন্দ্র দখলে চেষ্টায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

দুপুরে আব্দুস সামাদ আজাদকে অপর প্রার্থী  মামুনুর রহমান ভ’ইয়ার সমর্থকরা আটক করে লাঞ্চিত করে।

কাদলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইন উদ্দিন মজুমদারকে গুলবাহার কেন্দ্র থেকে পাথৈর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলামকে মারধর করে বের করে দেয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সকাল ১১টার দিকে পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের তুলপাই কেন্দ্রে  আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুদ্দিন মুন্সির সমর্থক ও কমীরা জোরপুর্বক কেন্দ্র প্রবেশ করে ব্যালট ছিনিয়ে  করে নিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ১শ’ ৪০টি ব্যালট পেপার বাতিল করা হয়।

এছাড়া এই ইউনিয়নের সহদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে অনিয়মের মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ সকাল ১০টায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফুল হক শাহজী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

কচুয়া করেসপন্ডেন্ট :  আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:২০ পিএম,  ২৭ মে  ২০১৬, শনিবার

ডিএইচ

Share