Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় শীতের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
শীতের

কচুয়ায় শীতের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

কচুয়ায় গত বেশ কয়েকদিন তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। কেউ কেউ শীতের কারণে কাজও পাচ্ছেন না। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। বেশি বিপাকে বয়স্ক ও শিশুরা। তারা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কচুয়া উপজেলার জনজীবন।

শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখছেন অনেকেই।

প্রায় কয়েকদিন যাবত কচুয়াতে এরূপ অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা থাকছে চারিদিক। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষসহ ছিন্নমূল মানুষের।

রিকশা চালক বিল্লাল হোসেন,আবু ইউসুফ জানান, ঠাণ্ডার কারণে মানুষজন ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়া পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই বিপাকে আছি।

চা বিক্রেতা জামাল হোসেন ও তাফাজ্জল জানান, শীতের কারণে সন্ধ্যায় দোকানে আগের মত ক্রেতা আসে না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

দিনমজুর মিজানুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দস চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, কোনো মতেই কাজ করলে পেট চলে। কাজ না করলে পেট চলে না, যে কারণে বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। তার পরও এখন কাজকর্ম তেমন পাওয়া যায় না। কোনো দিন জোটে, কোনো দিন জোটেই না। গত কয়েকদিন যে শীত পড়ছে তাতে কাজে যোগদান করতে পারছি না।

ফেরিওয়ালা আবুল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করি। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে কাধেঁ ভার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পণ্য বিক্রি করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কনকনে শীতের কারণে বের হওয়াই খুব কঠিন। বের হলেও বেচাবিক্রি নেই।

কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সোফায়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,শৈত্য প্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সালাউদ্দিন মাহমুদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শীত জনিত রোগ যেমন-সর্দি-কাশি, জ্বর ও এ্যাজমা রোগী আগের চেয়ে বেশি আসছেন। যার অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক । তবে শিশুদের উষ্ণ স্থানে রাখা ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদকঃ জিসান আহমেদ নান্নু, ২০ জানুয়ারি ২০২২