কচুয়া

কচুয়ায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চাঁদপুরে কচুয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের নোয়াবাড়ির জামাই আব্দুর রহিমের গলায় ফাঁস অবস্থায় কচুয়া থানা পুলিশ ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

জানা যায়, রহিম প্রায় ১২ বছর পূর্বে আবুল হোসেনের মেয়ে শাহনাজকে বিয়ে করে ঘরজামাই থেকে এ এলাকার অধিবাসী হয়।এলাকার মানুষের কাছে প্রশংসনীয় ছিলো রহিম। রহিমের স্ব-পরিবার চট্টগ্রামে বসবাস করে। রহিম পেশায় একজন রিক্সা চালক ছিলো। বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক ঝগড়া প্রতিনিয়ত লেগেই থাকতো। একাধিকবার দদরবারও হয়েছে। অবশেষ গত ২ নভেম্বর শাহনাজ দু’কন্যা সন্তানের মা হয়েও স্বামী রহিমকে তালাক প্রদান করে।

তালাকের পর এ ১০ দিন শাহনাজ দু’মেয়েকে নিয়ে একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে তার পিতা-মাতার ঘরে বসবাস করতো। রহিম প্রতিদিনের ন্যায় পূর্বের মতো নিজ সংসারের নতুন একটি বসত ঘরে কর্ম শেষে রাতে এসে একা ঘুমাতো।

বৃহস্পতিবার সকালে রহিম ঘুম থেকে না উঠায় তার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া বড় মেয়ে শারমিন খন্তি দিয়ে দরজার খিল খুলে দেখে তার পিতা ঘরের আড়ির সাথে ফাঁস দেয়া অবস্থায় মৃতদেহ ঝুলে আছে।

পুরে চট্টগ্রাম থেকে রহিমের পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজন এসে ঝুলন্ত লাশ দেখে তাদের আহাজারীতে এক হৃদয় বিধাড়ক শোকের ছায়া নেমে আসে এবং তারা দাবি করে রহিমকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে।

রহিমের স্ত্রী শাহনাজ জানান, সে আমাকে সবসময় মারধর করতো এবং নেশা করতো। এলাকায় বেশ-কয়েকবার দেন-দরবারও হয়েছে। কেউ সুষ্ঠ সমাধান দিতে না পারায় আমি তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়েছি।

কচুয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিনউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে মৃত্যুর কারন পর্যবেক্ষণ করেন এবং এসআই হাবিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।

স্টাফ করেসপন্ডেট,১৪ নভেম্বর ২০২০

Share