চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার খিড্ডা গ্রামের অধিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ইউনিয়ন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফয়েজ উল্যাহ’র মৎস্য খামারে রহস্যজনক ভাবে মাছ চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য খামার মালিক ফয়েজ উল্যাহ ফয়েজ।
সরেজমিনে মৎস্য খামার মালিক মো. ফয়েজ উল্যাহ জানান, বিগত ৭-৮ বছর যাবত খিড্ডা বাজারের পশ্চিম পাশে নিজের ও সনমেয়াদি পুকুর নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রজেক্টে বিভিন্ন দেশীয় ও কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু গত দুবছর যাবত তার বাড়ির দক্ষিন ও পাশ^বর্তী নতুন কয়েকটি বাড়ি নির্মান হওয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে রাতের আধারে তার প্রজেক্ট থেকে কৌশলে মাছ চুরি করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ নিয়ে যায়।
বিষয়টি তিনি প্রথমত টের না পেলেও বর্তমানে পজেক্টে মাছের খাবার দিতে এসে মাছের উপস্থিতি কম দেখে পুরোপুরি টের পাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, জনৈক ব্যক্তিরা এর আগেও কয়েক বার সুকৌশলে তার পুকুরের মাছ নিয়ে যায় এবং তার ভাগিনাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে কতিপয় লোকজন। এসব বিষয়ে স্থানীয় ভাবে বিচার চেয়েও কোনো ধরনের সুবিচার পাননি তিনি। তাই বর্তমানে তার প্রজেক্টের মাছ চুরির সন্দেহভজান ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা চান।
মৎস্য রেনু ব্যবসায়ী মো. বাবুল মিয়া ও তাপস চন্দ্র সরকার জানান, প্রায় বছর খানেক পূর্বে ফয়েজ উল্যাহ তাদের কাছ থেকে কৈ,তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস জাতের মাছের রেনু ও পোনা ক্রয় করে তার প্রজেক্টে চাষ করেন। মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা শুনেছেন বলেও জানান।
উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন ও আরিফ তালুকদার জানান, ফয়েজ উল্যাহ’র মৎস্য প্রজেক্টে বারবার চুরির বিষয়টি দু:খজনক। ফয়েজ উল্যাহর ব্যাপক ক্ষতিসাধনের লক্ষেই একটি বিশেষ চক্র কাজ চালিয়ে আসছে। তাদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
কচুয়া প্রতিনিধি, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২