চাঁদপুরে কচুয়া উপজেলার পালগীরি গ্রাম থেকে চুরিকৃত দু’টি মোটসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলার কাদলা গ্রামের রুহুল আমিন বেপারীর পুত্র মোঃ মহসিন বেপারী বাদী হয়ে গত ২৮ জুন এ মামলা দায়ের করেন।
একজন ছাড়া মামলায় অন্য অভিযুক্তরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
পুলিশ ওই মামলার আসামি হিসাবে কাদলা গ্রামের জসিম উদ্দিন জনি (২৩) নামের একজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। মামলার অন্যতম আসামী মোজাম্মেল হোসেনসহ অপর আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় ভুক্তভোগী মোটর সাইকেল খোয়ানো মালিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এদিকে গত কয়েক মাসে কচুয়া পৌর বাজার, ব্যাংক পাড়া, পৌরসভা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কড়ইয়া সড়কসহ বেশ কিছু স্থানে ১২/১৩টি মোটর সাইকেল সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকা স্বত্ত্বেও দিবালোকে চুরি হয়। এসব চুরির আলামত সিসি ক্যামেরায় সনাক্ত ও চুরির সাথে অভিযুক্ত কেউ ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকে।
গত মঙ্গলবার রাতে (ঈদের পর দিন) উপজেলার কাদলা গ্রামের অধিবাসী রুহুল আমিন বেপারীর পুত্র মহসিন ব্যাপারীর ডিসকবার একটি মটর সাইকেল দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে চুরি হয়। পরে সন্দেহভাজন হিসাবে একই এলাকার বখাটে যুবক জসিম উদ্দিন জনি (২৩) কে আটক করে স্থানীয়ারা। আটককৃত জসিম উদ্দিন এসময় স্থানীয় চোর ইকবাল হোসেন ওই মটর সাইকেল চুরি করে পালগীরি গ্রামের মোজ্জাম্মেল হোসেনের নির্দেশে চুরি করে তার কাছে দিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। পরে মোটর সাইকেল মালিক মহসিনসহ এলাকার ৩/৪ জন যুবক মিলে আটককৃত জসিম উদ্দিন জনিকে নিয়ে পালগীরি গ্রামে মোজাম্মেলের বাড়িতে যায়। জসিম উদ্দিন জনির দেখানো পথ মতে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় মোজাম্মেলের বাড়ি থেকে মহসিন বেপারীর মটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। মোটর সাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি জানাযানি হলে বিগত দিনে কচুয়ায় অন্যান্য চুরি হওয়া মটর সাইকেল মালিকরা থানা পুলিশ নিয়ে মোজাম্মেলের বাড়িতে এসে ভিড় জমায়।
এসময় মোজাম্মেলের বাড়িতে এক্সসিডি-১২৫ সিসির কুমিল্লা-হ-১১-৩৩২৭ একটি মটর সাইকেল ও চোরাই মালামাল জব্দ করে পুলিশ।
খবর পেয়ে কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল প্রধান জালাল, কচুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বাটা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, হাবিব উল্যাহ হাবিবসহ নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া মটর সাইকেল মালিকরা উপস্থিত হয়।
চোর চক্রের মুলহোতা মোজাম্মেল হোসেন আরো একটি মটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মোজাম্মেল হোসেন বিগত কয়েক বছর যাবৎ চুরি হওয়া মটর সাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানায়।
এদিকে থানায় নিয়ে আসা মোজাম্মেল হোসেনের এক্সসিডি মটর সাইকেলটির সঠিক কাজপত্র সে দেখাতে পারেনি বলে এসআই মোবারক হোসেন জানান।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সামছুল হক জানান, ‘মোটর সাইকেল চুরির বিষয়ে কয়েকজন লিখিত অভিযোগ করেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত ও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।’
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৩০ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৭, সোমবার strong>
ডিএইচ