কচুয়ায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাটুমূড়া গ্রামে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক মাষ্টার গংদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে কচুয়া-সাচার- গৌরিপুর সড়কের বারৈয়ারা বাজার এলাকায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কয়েক শতাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করে।

মানববন্ধনে সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন,রেনু মিয়া,স্থানীয় অধিবাসী তাফাজ্জল হোসেন ও ইব্রাহিম সহ আরো কয়েকজন বলেন, উপজেলার হাটমুড়া গ্রামে কিছুদিন পূর্বে সাদেক মাষ্টার মেইন রাস্তা সংলগ্ন নতুন মসজিদ ও রাস্তা নির্মানকে কেন্দ্র করে।

এ নিয়ে একই গ্রামের আলমাছ মিয়া গংরা বাঁধা প্রদান করলে এক পর্যায়ে ১১ জুলাই সালিশ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আলমাছ মিয়া গংদের হামলায় মাসুদ আলম ও মোজাম্মেল হোসেন গুরুতর জখম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে চিকিৎসা নেয়। ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে চঁাদপুরের মোকাম বিজ্ঞ আদালতে ভিকটিম মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার সিআর নং- ৩৪৩/২২, তারিখ: ১৩.০৭.২০২২ ইং।

পরবর্তীতে মোজাম্মেল হোসেনের মামলার ঘটনায় আলমাছ মিয়া উল্টো ঘটনা সাজিয়ে তার আপন বেয়াই সাবেক ইউপি সদস্য মো. নাছির হোসেন তালুকদারকে পুজিঁ করে উল্টো একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৫,তারিখ: ২৩.০৭.২০২২ ইং।

এ মামলায় মাসুদ আলম,সাদেক মিয়া ও বারৈয়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনকে আসামী করে হয়রানি করছেন। অথচ সালিশ বৈঠকের দিন আলমাছ মিয়া গংদের পক্ষের কেউ আহত হয়নি বলেও তারা দাবি করেন। আমরা এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই পাশাপাশি অবিলম্বে ওই মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার জোর দাবি জানাই।

হয়রানির শিকার সাদেক মাষ্টার বলেন, বিগত কোরবানি ঈদের সময় প্রতিপক্ষ আলমাছ গংরা আমার বাড়িতে এসে কোরবানি দিতে বাধা দেয়া খাসি ও ফলাউ চাউল উৎকোচ দাবি করে না পেয়ে নানান ভাবে হয়রানি করে এবং আমার ছেলে ও প্রতিবেশী মোজাম্মেল এর উপর গুরুতর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় মামলা দেয়ায় উল্টো মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে প্রতিপক্ষরা আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,৬ আগস্ট ২০২২

Share