কচুয়া উপজেলার পশ্চিম প্রসন্নকাপ গ্রামে ষড়ন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এক পরিবারের ৪জনসহ একই গ্রামের ৯জনকে আসামী করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রসন্নকাপ গ্রামের সোহেল রানা নামের এক যুবককে সেঙ্গুয়া গ্রামে ওরছ মাহফিলে মারধরের ঘটনায় পাশ^বর্তী ৩ কিলোমিটার দুরে প্রসন্নকাপ বাংলাবাজার এলাকায় ঘটনা দেখিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানি করছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী দাবী করেন। যার মোকদ্দমা নং- ৩৫৩/২০২২ইং, তারিখ: ২৫.০৬.২০২২ ইং।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ওই মামলা থেকে অব্যহতি পেতে শতশত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
মামলায় হয়রানির শিকার নিরীহ মহসিন প্রধান,সোহেল সরকার,সিয়াম,জেসমিন বেগমসহ কয়েক জন জানান, গত ইউপি নির্বাচনে প্রবাসী আবুল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাকে কাউন্টার দিতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে যুবক সোহেল রানাকে পুজি করে একটি বিশেষ মহলের ইন্দনে একই এলাকার আলী আহমেদ,আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
স্থানীয় অধিবাসী ও মামলার স্বাক্ষী মানিক মিয়া,জসিম উদ্দিন ও পাশ^বর্তী মতলব দক্ষিনের কালিকাপুর গ্রামের ফারুক হোসেন,হারুন মিয়া,বাচ্চু মিয়া,নৌকার মাঝি সোহেল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, গত ২ মাসেও প্রসন্নকাপ বাংলাবাজার এলাকায় কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা হয়নি। এটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক । আমরা এ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
অন্যদিকে একই উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামের অধিবাসী বর্তমান ইউপি ইউপি সদস্য গাজী রফিকুল ইসলাম,আব্দুল হান্নান ও মহসিন মিয়া স্বপন সহ একাধিক লোকজন জানান, গত কয়েক দিন পূর্বে প্রসন্নকাপ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানাকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেঙ্গুয়া গ্রামের কিছু যুবক মারধর করেছে । তবে বাংলা বাজারে সোহেল রানাকে কেউ মারধর করেনি।
এদিকে যুবক সোহেল রানার বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং মামলার বাদী মো. আলী আহম্মেদের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কচুয়া প্রতিনিধি, ২৭ জুলাই ২০২২