Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আমেনা আক্তার
Amena akter

কচুয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আমেনা আক্তার

আগামি ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুরের কচুয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আমেনা আক্তার। সোমবার চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. মাজেদুর রহমান খান তাঁর কার্যালয়ে শুনানী শেষে আমেনা আক্তারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

এর পূর্বে ২৮ ফেব্রুয়ারি রিটার্ননিং অফিসার সাচার ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য আমেনা আক্তার এর পদত্যাগপত্র দেয়ায় তার পদত্যাগ পত্রটি বিবেচনায় না আনায় মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ১৮ এর উপবিধি(১) এর অধিনে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার প্রার্থনার আপিল করেনন। এর ফলে উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে আমেনা আক্তার নির্বাচনে অংশ গ্রহণে আর কোন বাঁধা নেই।

অপর দিকে আমেনা আক্তার’র কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় তার কর্মী সমর্থকদের আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে এবং উপজেলা ব্যাপী মোবাইল ম্যাসেজে আমেনা আক্তারের প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের অধিবাসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মাস্টারের কন্যা আমেনা আক্তার ১ নং সাচার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনে বিপুল ভোটে নারী সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তিনি উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনে সদস্যও ছিলেন।

তার স্বামী মো. হাবিবুর রহমান জাহাঙ্গীর একজন বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাচার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আমেনা আক্তারের শ্বশুর মরহুম খোরশিদুর রহমান মাস্টার একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। খোরশিদুর রহমান মাস্টার তৎকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পৃষ্টপোষক ও সাচার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

পেছনের কথা :

চাঁদপুরর কচুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমেনা আক্তার একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল কচুয়া উপজেলা শাখার সদস্য, ঢাকা কদমতলী থানার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা (উত্তর) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও কুমিল্লার নিমশার জুনাব আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের সাথে সুনামের সাথে জড়িত রয়েছেন।

পাশাপাশি বিগত জাতীয়, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় জনমত ও সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়ে প্রার্থীকে জয়ী করতে সার্বিক সহযোগী করেন এবং সাচার ইউনিয়নের নারী সদস্য হওয়ার পর তার নির্বাচনী এরিয়ার সাধারণ মানুষের বিশেষ করে গরিব অসহায়দের সাহায্য সহযোগীতা, দারিদ্র দূরীকরণ, গর্ববতী মায়েদের ভাতা, পঙ্গু ভাতা, বিধবা ভাতা, স্যানিটিশন সূবিধা, নারীর অধিকার সুরক্ষা ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপক অবদান রাখেন।

আর এসব সুযোগ-সুবিধা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘২০২১’ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কচুয়ার নারীদের সম্পৃক্ত করে এবং জনসাধারণের মাঝে সরকারের উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয়ে এবং আধুনিক কচুয়ার উন্নয়নের রূপকার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র হাতকে শক্তি শালী করতে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা করেছেন।

স্থানীয় একাধিক লোকজন জানিয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কচুয়াবাসী আমেনা আক্তারকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। তিনি নির্বাচিত হলে আধুনিক কচুয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করবেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় কচুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী মোসাম্মদ আমেনা আক্তার বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আমার প্রয়াত শ্বশুর ও স্বামী ব্যাংকার হাবীবুর রহমান জাহাঙ্গীর একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। মানুষের সেবা ও জনপ্রতিনিধি হয়ে সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য প্রার্থী হয়েছি।

আমার বিশ্বাস প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অন্যান্য বিষয়াদির উপর বিবেচনা করে প্রাণ প্রিয় কচুয়াবাসী আমাকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মূল্যবান রায় দিবেন। আর আমি কচুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নারীদের অধিকার নিশ্চিতকরণ সহ কচুয়াকে উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে একটি অন্যতম উপজেলা রূপান্তরে কাজ করে যাবো।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
৫ মার্চ,২০১৯