কচুয়া উপজেলার জগতপুর গ্রামে হেদায়েতুল ইসলাম (৪২) নামের এক রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জগতপুর বাজারের হাতুরে চিকিৎসক পিল্টন চন্দ্র ভৌমিক এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। হেদায়েতুল ইসলাম বর্তমানে জগতপুর গ্রামে মোখলেছুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে যাচ্ছে। যেন তাকে দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে জানা গেছে, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাঢী গ্রামের হেদায়েতুল ইসলাম বিগত ১২-১৩ বছর যাবৎ কচুয়া উপজেলার জগতপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বাড়িতে বসবাস করছে। পেশায় সে একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী। স্ত্রী কল্পনা বেগম, দুই মেয়ে ও তিন ছেলে নিয়ে তার বসবাস।
স্ত্রী কল্পনা বেগম জানান, সম্প্রতি তার স্বামী বুকে বিচি জনিতে ব্যাথা ও ফক্স দেখা দিলে গত ০৯ আগষ্ট জগতপুর বাজারের বাংলাদেশ ফার্মেসীর ডাঃ পিল্টন চন্দ্র ভৌমিকের ব্যবস্থা পত্রের মাধ্যমে ভাইরাক্স ক্রীম ব্যবহার করলে ক্ষতস্থান আরো বেশী কালো হয়ে ছড়িয়ে যায় এবং তার ব্যথা ও যন্ত্রনা আরো বেড়ে যায়। তাদের দাবী সঠিক সময়ে ,সঠিক ঔষধ দেননি ডাঃ পিল্টন চন্দ্র ভৌমিক।
পরবর্তীতে তিনি মুদাফ্ফরগঞ্জ বাজারের ডাঃ আব্দুল খালেক সিকদারের পরামর্শ নিয়ে বর্তমানে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছে। কল্পনা বেগম ও হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, জগতপুর বাজারের ডাঃ পিল্টন চন্দ্র ভৌমিকের দেয়া ক্রীম ব্যবহার করায় ব্যথা ও ক্ষত বেশি দেখা দিয়েছে। আমরা ডাঃ পিল্টন চন্দ্র ভৌমিকের এই অপচিকিৎসা ও অবহেলার কারণে মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জোর দাবি করেন।
বাড়ির মালিক মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, হেদায়েতুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ। জগতপুর বাজারের পিল্টন চন্দ্র ভৌমিকের ঔষধ সেবন করায় তার ব্যথা যন্ত্রনা বেশী হয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত জগতপুর বাজারস্থ বাংলাদেশ ফার্মেসীর ডাঃ পিল্টন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, হেদায়েতুল ইসলাম পূর্বেই ক্ষত যন্ত্রনা নিয়ে আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে কুমিল্লায় উন্নত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ডাঃ না হয়েও নিয়ম মোতাবেক তিনি ডাক্তার লিখতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় একাধিক লোকজন জানিয়েছে ডাঃ পিল্টন চন্দ্র ভৌমিক ইতিমধ্যে একাধিক ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। যার কারণে এলাকার অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং তদন্ত করলে তা বেড় হয়ে আসবে। এভাবে তার অপচিকিৎসা চলতে থাকলে এলাকাবাসী মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তাই এখনই তদন্ত পূর্বক তার অপচিকিৎসা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভোক্তভোগী এলাকাবাসী।
প্রতিনিধি:জিসান আহমেদ নান্নু