Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

কচুয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

কচুয়ায় স্টীলের মালামাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সাচারের কান্দিরপাড় গ্রামের অধিবাসী ও ইউপি সদস্য মনির হোসেন ও তার সহযোগী বলাই চন্দ্রের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। তবে ইউপি সদস্য মনির হোসেন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাচার পশ্চিম বাজার মন্দির সংলগ্ন এলাকায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহা (৩২) বর্তমানে দাউদকান্দির (গৌরিপুর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত রমজানের ঈদের কয়েক দিন পূর্বে উপজেলার পালাখাল পূর্ব বাজারস্থ প্যাকেজিং ও স্টীল মালামাল ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহার পালাখাল রোস্তম আলী কলেজ গেইট সংলগ্ন গোডাউন থেকে রাতের আধারে ৯ বান্ডেল স্টীলের সিট কয়েল একই গ্রামের আঃ খালেকের পুত্র মাসুদ (২৭), আঃ ছাত্তারের পুত্র আলামিন (২৮) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন চোর মালামাল গুলো চুরি করে নিয়ে যায়। পরে চুরি হওয়া ওই মালামালের মধ্যে ৩ বান্ডেল সিট কয়েল সাচার বাজারের বিল¬াল হোসেনের দোকান থেকে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মালামাল বিষয়ে বিল¬াল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ কয়েল সিটগুলো একই উপজেলার হাতিরবন্দ গ্রামের নুরু মিয়ার পুত্র মহসিন (৩০) এর কাছ থেকে সে ক্রয় করেছে বলে জানায়। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মনির হোসেন বাপ্পী সাহা-বিল¬াল হোসেনকে ৫৭ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিতে অপারগতা করায় ঘটনার দিন (১০ সেপ্টেম্বর) সাচার বাজারে তাকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

আহত বাপ্পী সাহা জানান, দোকানের স্টীলের মালামাল চুরি হওয়ার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে মামলা করিনি। কিন্তু ইউপি সদস্য মনির হোসেন আমি হিন্দু সম্প্রসায়ের ছেলে হওয়ায় বিল্লাল হোসেন যার কাছ থেকে মাল কিনেছে তাকে চাপ সৃষ্টি না করে উল্টো আমি ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দেয়। এতে আমি অপারগতা করায় আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করে।

তিনি আরও জানান, মাল উদ্ধারের পর মনির মেম্বার কর্তৃক বিল্লাল হোসেনকে ৫৭ হাজার টাকা দিতে বললে এ বিষয়ে আমি কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের লিখিত ও মৌখিকভাবে অবহিত করি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী বিল্লাল নিরীহ হওয়ায় তাকে ৫৭ হাজার টাকা দিতে বাপ্পী সাহাকে বলি, কিন্তু বৃহস্পতিবার বাপ্পী সাহাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।