কচুয়া

কচুয়ায় বীমা কর্মীকে ডেকে নিয়ে মারধর ও ছিনতাই

চাঁদপুরের কচুয়ায় মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর রহিমানগর শাখার বিসি মোঃ আব্দুল মালেক (বিসি কোড নং-১১-৭১৮) কে বীমা করার কথা বলে মোবাইল ফোনে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারধর ও নগদ টাকা, মোবাইল ও মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পালাখাল চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন রোজিনা বিউটি পার্লার এলাকায় হামলা, মারধর ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ৪জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিবাদীরা হচ্ছেন- মোঃ আবুল কাশেম (৪৮), সুমি আক্তার (৩০), নাজমা বেগম (২৮) ও মিজানুর রহমান (২৯)।

বাদীর লিখিত অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ বীমা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মালেকের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন বিকেলে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের কচুয়া জোন ইনচার্জ মোঃ আবুল কাশেম ও ওই অফিসের কর্মরত কর্মী সুমি আক্তারের নির্দেশে অপর দুই কর্মী নাজমা বেগম ও মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে বীমা করার কথা বলে পালাখাল বাজার সংলগ্ন নাজমা বেগমের বোনের ভাড়াটিয়া রোজিনা বিউটি পার্লারের বাসায় তাকে নিয়ে যায়। আব্দুল মালেক ওই বাসায় পৌঁছা মাত্র তাদের যোগসাজসে ৪/৫ জন স্থানীয় বখাটে যুবক এসে তাকে অতর্কিত মারধর করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার সাথে থাকা নগদ ১১ হাজার টাকা, ৩টি মূল্যবান মোবাইল ও মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের এলাকার লোকজনের উপস্থিতি টের পেলে হামলাকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় আব্দুল মালেককে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কচুয়া পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপনের হস্তক্ষেপে পালাখাল বাজার থেকে হামলাকারী যুবকদের কাছ থেকে আব্দুল মালেকের দুটি মোবাইল, ৫ হাজার টাকা ও মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। বাকী ৬ হাজার টাকা ও দামী মোবাইল ফোনটি পরদিন পৌঁছে দেয়ার কথা থাকলেও অধ্যবদী হামলাকারীরা দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ও হামলার শিকার মোঃ আব্দুল মালেক ন্যায় বিচার পেতে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়েরের পর এসআই মোঃ মাহাবুবুর রহমান গত বৃহস্পতিবার আবুল কাশেমকে আটক করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসে।

আবুল কাশেম গত রবিবার সন্ধ্যায় পৌর মেয়রের কার্যালয়ে বসে ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান দেয়ার আশ্বাস দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও আবুল কাশেম বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত না হয়ে গড়িমসি করে আসছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কাশেমের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কচুয়া
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২: ০০ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share