চাঁদপুর কচুয়ায় ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের চাঁপাতলী গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক কলেজ ছাত্রী।
১২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী মনি আক্তার (১৮) প্রেমিক সুজনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। এসময় প্রেমিক সুজনের ভাই,ভাইয়ের স্ত্রী,বোন ও ভাতিজিরা তাকে মারধর করে বলে কলেজ ছাত্রী মনি আক্তার দাবি করেন। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেমিক সুজনের ভাই মাসুদ মিয়া।
তিনি জানান, কিছু বহিরাগত লোকজন তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই মেয়েকে ফুঁসলিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। মেয়েটির সাথে তার ভাই সুজনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন আমার ছোট ভাই সুজন কখনো এলাকায় থাকত না। সে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে।এ ঘটনায় স্থানীয় উৎসুক লোকজন ছেলের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে এবং এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার নুরপুর গ্রামের আব্দুল গনির কলেজ পড়ুয়া কন্যা মনি আক্তার জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে একই উপজেলার চাপাতলী গ্রামের আলী আহমেদের পুত্র সুজনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই ফাকে সু-চতুর সুজন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাহরাস্তির নিজমেহের এলাকায় তার বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি, শাহরাস্তি,হাজীগঞ্জসহ বেশকিছু জায়গায় তাকে নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে।
বিগত ৩১ অক্টোবর মনি আক্তার প্রথমবার বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিক সুজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিল। ওইসময় সুজনের আত্মীয় স্বজন ও অন্যান্যরা বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ওই সময়ে তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
অবশেষ কোনো সমাধান না পাওয়ায় পূনরায় শনিবার মনি আক্তার বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজনের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
এসময় তাকে সুজনের পরিবারের লোকজন ব্যাপক মারধর করে টেনে হেচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে মনি আক্তার দাবি করেন।
মনি আক্তার আরও জানান, সুজন বিগত দিনে আমাকে বিয়ে করবে বলে নানান ভাবে প্রতারণা করেছে। তাকে বিয়ের কথা বললে বাড়িতে না থেকে বিভিন্ন জায়গা গিয়ে ঘুরে ফিরে নানান অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা নিয়ে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আমি বিয়ের দাবি করছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১২ ডিসেম্বর ২০২০