কচুয়া উপজেলার খিলমেহের গ্রামে বাড়ির চলার পথ নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্ধের ঘটনায় হামলায় মেয়ের জামাতা,পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার রাতে (২৬ এপ্রিল) পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হচ্ছেন, কচুয়া থানার পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদ,এবায়েদ উল্যাহ,আশারকোটা গ্রামের অধিবাসী লোকমান হোসেন,খিলমেহের গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,মেয়ের জামাতা শাহিন,শাকিল,বিল্লাল হোসেন ও আহসান উল্যাহ।
আহতরা বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, খিলমেহের গ্রামে শিকারী বাড়ি,টিয়ার বাড়ি ও মিজি বাড়ির যাতায়াতের পথ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে প্রবাসী ফারুক হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারকে বাশঁ দিয়ে বেড়া দিয়ে গৃহবন্ধী করে রাখে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনায় ফারুক হোসেনের বড় ভাই লোকমান হোসেন কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার রাত ৮টার দিকে এএসআই দিদারুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের উপস্থিতিতে জাহাঙ্গীর আলমের জামাতা শাহিনের সাথে বাকবিতন্ডা ও তার উপর হামলা চালায় আহসান উল্যাহ ও হারুনুর রশিদ গংরা। এসময় পুলিশ তাদের রোষানল থেকে শাহীনকে বাচাঁতে গেলে দুই পুলিশ সদস্যদেরও আহত করা হয়।
প্রতিপক্ষ আহসান উল্যাহ,গিয়াস উদ্দিন,আব্দুল মতিন,বিল্লাল হোসেন ও মনোয়ারা বেগম জানান, প্রবাসী ফারুক হোসেন প্রভাব খাটিয়ে তিন মাস ধরে আমাদের তিন বাড়ির অর্ধশতাধিক পরিবারের কয়েক শতাধিক মানুষের চলাচলের সরকারি ভরাটকৃত রাস্তার পথ টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ফলে আমরা মসজিদ,মুক্তব,কবরে স্থানে যাতায়াত,বাজার,কৃষি কাজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে গৃহবন্ধী হয়ে পড়ি।
আমরা গ্রামবাসী বাশঁ,মাটি ও অন্যান্য ভাবে রাস্তা নির্মাণে সহায়তা করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির লোকজন কয়েকদিন পূর্বে ফারুক হোসেনের বাড়ির সামনে বাশঁ দিয়ে বেড়া দেয়।
হামলার শিকার লোকমান হোসেন জানান, কিছু স্বার্থন্বেষী লোকজন মসজিদের মাইকে উস্কানি দিয়ে অন্যায় ভাবে হামলার ঘটনা ঘটায়।
তিনি আরো জানান, আমার ভাই ফারুক হোসেনের জায়গার উপর দিয়ে একক ভাবে রাস্তা নিতে চায় আহসান উল্যাহ গংরা। তারাও কিছু অংশ জায়গায় ছেড়ে দিলেও চলাচলের রাস্তা সুন্দর হয়।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রবাসী ফারুক হোসেন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারকে গৃহে বেড়া দিয়ে বন্ধী করে রাখায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে জাহাঙ্গীর আলমের জামাতা শাহিনকে আহসান উল্যাহ ও হারুনুর রশিদ গংরা মারধর শুরু করে। পুলিশ শাহীনকে বাচাঁতে গেলে দুই পুলিশ সদস্যদেরকেও হামলা করা হয়। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কচুয়া প্রতিনিধি