গ্রীষ্মের তাপদাহে অতিষ্ট প্রাণ, খুঁজে ফিরে একটু স্বস্তির পরশ। সেই অবস্থায় বাঙ্গি প্রাণে এনে দেয় শান্তি, দূর করে শরীরের ক্লান্তি।
গ্রীষ্মের অন্যতম ফলগুলোর মধ্যে বাঙ্গি একটি অন্যতম ফল। আর বাঙ্গি চাষে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠছে কচুয়ার গ্রামীণ অঞ্চল। ওই অঞ্চলের বাঙ্গি আকারে বড়,দেখতে সুন্দর ও স্বাদে অনন্য হওয়ায় কচুয়া,হাজীগঞ্জ,কুমিল্লা,সাচারসহ আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। অল্প শ্রম ও সল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই এ অঞ্চলে বাড়ছে বাঙ্গির আবাদ। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমী কর্মসংস্থানের। তবে চলতি বছর ফলনে কিছুটা ভাটা নেমেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কচুয়ার কাদলা ইউনিয়নের কাদলা গ্রামে বিস্তৃর্ণ বিলে ধান ও আলু জাতীয় ফসলের পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। মাটির উপর ছড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গিগাছের সবুজ লতা। লতার ফাঁকে ফাঁকে কাঁচা-পাকা বাঙ্গি শোভা পাচ্ছে। জমি থেকেই বাঙ্গি কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এখানে আসেন।
কাদলা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আগে নিজেরা খাওনের পাশাপাশি একাধিক জমিতে বাঙ্গি চাষ করতাম। কিন্তু বর্তমানে সার,পানি,ঔষধ ও অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় তেমন বেশি বাঙ্গি চাষ করি না। গত কয় বছর ধরে বাঙ্গির ফলন ভালো হওয়ায় এ গ্রামে আরো ২০/২৫টি পরিবার বাঙ্গির চাষ করত।
এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় বাঙ্গির তেমন ফলন হয়নি। ৬০ শতাংশ একটি জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ২৫ হাজার টাকার মতো আয় করেছি। ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে অনেক ফলন নষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে বাঙ্গি চাষ করব কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আগের মতো এখন আর পোষায় না।
কৃষক আইয়ুব আলী আরো জানান, আমার ছেলে মাহবুব আলম এমএ পাস করে চাকরি পাইনি। বর্তমানে আমাকে বিভিন্ন ভাবে কৃষিকাজে সহযোগিতা করছে। শেষ বয়সে আমার একটাই দাবি আমার শিক্ষিত ছেলেটির যাতে একটি ভালো চাকরি হয়।
প্রতিবেদকঃজিসান আহমেদ নান্নু,১৮ এপ্রিল ২০২১