চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের নিন্দপুর গ্রামে এক নববধূকে বাবার বাড়ীর লোকজন কর্তৃক জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় বাঁধা দেয়ায় বাড়ী ঘরে হামলা, ভাংচুর ও গৃহকর্তাসহ ৫ জনকে আহত করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় নিন্দপুর গ্রামে মকবুল মিয়ার বাড়ীতে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গুতপুর গ্রামের নলি মিয়ার মেয়ে মনিরা আক্তার বিগত ১৪ আগস্ট একই উপজেলার নিন্দপুর গ্রামের মো: মকবুল মিয়ার ছেলে প্রবাস ফেরত মোঃ হুমায়ূন কবিরের সাথে পছন্দ করে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এ বিয়ে মনিরা আক্তারের বাবা নলি মিয়া ও ভাই ফরহাদ হোসেন কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি।
পরবর্তীতে রবিবার সন্ধ্যার পূর্বে মনিরা আক্তারের ভাই ফরহাদ হোসেন বহিরাগত লোকজন নিয়ে মনিরা আক্তারের শ্বশুর বাড়ীতে আসে।
এ সময় উভয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে মনিরা আক্তারের শ্বশুর মকবুল মিয়া, ভাসুর মোহন ও স্বামী হুমায়ূন কবিরের গৃহে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
এতে বাঁধা দিলে গৃহকর্তা মকবুল মিয়া তার স্ত্রী হাফেজা বেগম, মোহন, হুমায়ূন কবির ও ফারুক হোসেনকে বেদম মারধর করা হয়।
এ সময় হামলাকারীরা মকবুল মিয়ার গৃহে থাকা নগদ ৩ লক্ষ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ ও মোহন মিয়ার গরু বিক্রি করা নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবী করেন।
নববধূ মনিরা আক্তার জানান, আমি নিজের ইচ্ছায় পছন্দ করে হুমায়ূন কবিরকে বিয়ে করে স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। আমার বাবা নলি মিয়া ও ভাই ফরহাদ হোসেন বিশৃঙ্খলা করে আমার শ্বশুর বাড়ীতে এসে বহিরাগত লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার শশুর বাড়ীতে নিরাপদ, আমি এখানেই থাকতে চাই। এ সময় হামলা কারীদের মধ্যে কাইয়ূম চৌধুরী ও ইমরান কাইফ চৌধুরী নামের দুই যুবককে মারধর করে আটক করে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, আমি মনিরা আক্তারের শ্বশুর বাড়ীতে হামলা করিনি, আমাকে অন্যায় ভাবে মারধর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মনিরা আক্তারের পূর্বে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা গ্রামে আঃ খালেকের ছেলে মোশারফ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। মনিরা আক্তার পূর্বের স্বামী মোশারফ হোসেনকে চলতি বছরের ১০ মার্চ ডিবোর্স দিয়ে ১৪ই আগষ্ট হুমায়ূন কবিরের সাথে পুনরায় বিয়ে করেন।
পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছে কচুয়া থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন, রোষানলে থাকা কাইয়ূম চৌধুরী ও তার ছোট ভাই ইমরান কাইফ চৌধুুরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কচুয়া থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন জানান, হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে কোন পক্ষ এখনো থানায় মামলা করেনি।
কচুয়া প্রতিনিধি, ২২ আগস্ট ২০২২