Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়ায় পুত্রবধূর বসতঘর ভেঙে দিলো শ্বশুর
পুত্রবধূর

কচুয়ায় পুত্রবধূর বসতঘর ভেঙে দিলো শ্বশুর

চাঁদপুরের কচুয়ায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুত্রবধূর বসতঘর ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে চুরমার করলো এক পাষণ্ড শ্বশুর। স্বামী প্রবাসে থাকায় উপায়ন্ত না পেয়ে ৯৯৯ ফোন করেন ভুক্তভোগী পুত্রবধূ।

১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কচুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার কেশেরকোট এলাকার মো. আলমের মেয়ে আছমার সাথে গোপনে একই এলাকার জাফর মিয়ার ছেলে কাউছার হোসেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারের দুইটি সন্তান জন্ম নেয়। এক পর্যায়ে স্বামী কাউছার বিদেশ পাড়ি দিলে শশুর জাফর মিয়ার পরিত্যক্ত জায়গার উপর বসতঘর গড়ে তোলেন আছমা বেগম। বাড়ীর পরিত্যক্ত স্থানে নির্জন বসতঘরে দুই সন্তানকে আটকে বসবাস করে আসলেও শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েন আছমা বেগম।

সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবর সকালে শ্বশুর জাফর, দেবর লিমন, মাসুদ, রাকিব ও জসিমসহ জেটা শ্বশুর আব্দুর রশিদ মিলে ভেকু দিয়ে আছমা বেগমের বসতঘর ভেঙ্গে উচ্ছেধ করে। প্রতিবাদ জানালে পুত্রবধূ আছমাকে সবাই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শারীরিক ভাবে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। তাদের হাতে শ্লীলতার হানীর স্বীকার হয়ে নিষ্পাপ দুই সন্তানকে বুকে নিয়ে আহত অবস্থায় পাশের বাবার বাড়ীতে উঠে। গরীব বাবা মা মেয়েকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনার নির্মমতা প্রকাশ করে মা ও নানী বলেন, শ্বশুর ও দেবরদের নির্যাতনের মাত্রা এতে তীব্র যে ভাষা প্রকাশ করার মত না। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

ভুক্তভোগী আছমা বেগম বলেন, আমার স্বামী সৌদি থাকেন, আমি দুই সন্তান নিয়ে শ্বশুরের পরিত্যক্ত জায়গার উপর ঘর করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু নানা সময় শ্বশুর ও দেবরের অনৈতিক কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ভেকু এনে ঘর ভাঙচুর করে দেয়। আমি বাধাঁ দিলে আমাকে মেরে তাড়িয়ে দেয়। আমি নিরুপা হয়ে বাবার বাড়ীতে উঠেছি। আমি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযুক্ত শ্বশুর জাফর বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা একাধিক মামলা দেয় ছেলের বউ আছমা বেগম। আমি তাই আমার জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছি।

কচুয়া থানার এস আই রামু চন্দ্র রায় বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্বের কিছু জটিলতা ছিল, ঘরের মালামাল আছমা বেগমকে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও বিষয়টি সমাধানের লক্ষে উভয় পক্ষকে থানার বসার জন্য বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৩ অক্টোবর ২০২২