কথায় আছে যিনি রাধেন, তিনি চুলও বাধেন। একজন সুলতানা খানম, অন্যজন রওনক আরা রত্না। দু’জনেই তাদের আন্তরিক চেষ্টায় কর্মক্ষেত্রে সফল ও সাহসিক ভূমিকা ও কর্মদক্ষতার কারনে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
সুলতানা খানম,কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিগত ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুলতানা খানম প্রথম বারের মতো বিপুল ভোটে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির একটি মামলায় সাময়িক বহিস্কার হওয়ায় তিনি গত বছরের ২৩ জুলাই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি কচুয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভানেত্রী ও কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয়রা জানান, কচুয়ার গুলবাহার খানবাড়ীর মেয়ে সুলতানা খানম একজন শিক্ষক হিসেবে যেমন আপোষহীন তেমনি, দক্ষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে চমক সৃষ্টি করেন।
অন্যদিকে কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী (আলীয়ারা) রাজবাড়ীর পুত্রবধু হিসেবে খ্যাত রওনক আরা রত্না ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী (কচুয়া-শাহরাস্তি) আসনে বিপুল ভোটে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরবর্তীতে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি কচুয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদিকা হিসেবে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সাহসিক ভূমিকা পালন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি বর্তমানে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয়দের মতে কচুয়ার উন্নয়নের রূপকার ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির বিশ^স্থ কর্মী হিসেবে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতানা খানম ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রওনক আরা রত্না নারী জাগরন ও কচুয়াবাসীর কল্যানে নিবেদিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের দু’জনকে শুভাকামনা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৯ নভেম্বর ২০২১