চাঁদপুর কচুয়া বিশ্বরোড এলাকার কেয়ার ডিজিটাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্সের ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
১২ আগস্ট বুধবার সকালে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিং করার সময় মাথায় মারত্মক আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয় বলে পরিবার দাবি করেন।
জানা গেছে, মতলব দক্ষিন উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের স্ত্রী রেশমা আক্তার (২০) এর প্রসব ব্যাথা দেখা দিলে রেশমা আক্তারের মা জাকিয়া বেগম কেয়ার ডিজিটাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স সুবর্ণা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সিজারিং করে।
গুলবাহার গ্রামের অধিবাসী, রেশমা আক্তারের বাবা হুমায়ূন মজুমদার জানান, ডাক্তার দিয়ে সিজারিং করার কথা থাকলেও কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অদক্ষ নার্স দিয়ে আমার মেয়ের সিজারিং করার ফলে নবজাতকের মাথার অংশ মারত্মকভাবে কেটে যায়। তিনি এ মৃত্যুর জন্য নার্সকে দায়ী করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানান।
ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে দ্রুত কুমিল্লা নেয়ার পরামর্শ দিলে শিশুটির পরিবার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত নার্স সুবর্না ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছেড়ে গা ডাকা দেয়।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অভিজ্ঞ ডাক্তার ব্যতিত কোনো নার্স সিজারিং করার নিয়ম নেই। কেয়ার হাসপাতালে নবজাতক মৃত্যুর বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা সিভিল সার্জনকে অবগত করা হবে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেয়ার ডিজিটাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক পঙ্কজ দেবনাথ ওই নবজাতককে সিজারিং এর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাকে (নবজাতক কে) নরমাল ডেলিভারী করা হয়েছে।
এদিকে কচুয়া কেয়ার ডিজিটাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এর আগেও কয়েকটি ভুল চিকিৎসায় মা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাংচুর করে ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। তদন্তপূর্বক কেয়ার ডিজিটাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১২ আগস্ট ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur