চাঁদপুরের কচুয়ায় রেশমা বেগম নামের এক বিধবা নারীর রোপনকৃত ফসলি জমিতে ধানের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিধবা নারী রেশমা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার একই গ্রামের অলিউল্যাহসহ ৭ জনকে আসামি করে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিশর্দন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩০নং মৌজা সেঙ্গুয়া মৌজার ১৬৯৫ খতিয়ানে ২৮০৩ দাগে রেশমা বেগমের শ^শুর সোলেমান ও শ^াশুড়ি আমেনা বেগম ১৫ শতক জমির মালিক হন। তন্মধ্যে ১২ শতক জমি একই গ্রামে অলিউল্যাহর কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু বাকী ৩শতাংশ ফসলি জমিসহ পুরো জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে রেশমা বেগমের সাথে একই গ্রামের অলিউল্যাহ,কাউছার গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে ফসলি জমিতে রোপনকৃত ধানের চারা কেটে নিতে পারেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
ভূক্তভোগী বিধবা রেশমা বেগম বলেন, জোরপূর্বক ভাবে অলিউল্যাহ গংরা আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অবগত রয়েছেন। আমার ফসলি জমিতে ধানের রোপন করি। বুধবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অলিউল্যাহ গংরা রোপনকৃত চারা কেটে ফেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ অলিউল্যাহ গংদের শাস্তির দাবি জানান ভূক্তভোগী ওই নারী।
ইউপি সদস্য গাজী রফিকুল ইসলাম,স্থানীয় অধিবাসী হাজী আলী হোসেন ও মোল্লা খালেক বলেন, জমি নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। কিন্তু যারা ফসলি জমিতে রোপনকৃত ধানের চারা কেটে দিয়েছে এটা জঘন্য অপরাধ। আমরা তাদের দৃষ্টান্তুশূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এদিকে অভিযুক্ত অলিউল্যাহর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ছেলে কাউছার সিকদার বলেন, এটা ষড়যন্ত্র। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে উঠেছে এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এঘটনার সাথে আমরা জড়িত নই।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ফসলি জমিতে রোপনকৃত চারা কেটে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কচুয়া প্রতিনিধি, ৩ মার্চ ২০২২