চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন ও সাধারন সম্পাদক মো. সোহেলের গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গা গেইটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন, সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন, সোহাগ, রবিউল, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আহতদের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্কে ও হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায় দু’বছর আগে ইমদাদুল হক মিলনকে সভাপতি ও মো. সোহেল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি অনুমোদন প্রদান করেছিল জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তারা কোন ইউনিয়নে কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়।
১ বছরের অনুমোদিত কমিটির মেয়াদ ২ বছর চলছে। তার পরেও এ কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কোন ইউনিয়নে আহবায়ক কমিটি বা কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন জানায়, আমি চাই প্রত্যেক ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি দ্রুত দিয়ে দেয়া হউক।
কিন্তু সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল এতে রাজি হচ্ছিলো না। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কমিটি দেয়ার জন্য চাপা-চাপি করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে কথা কাটা-কাটি করতেই সোহেল সমর্থিত কয়েজন ছাত্র নেতা আমার সাথে ছাত্রনেতাদের দিকে তেড়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের কর্মীদের মাঝে হট্রগেল বেঁধে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শাহরাস্তি থানার ওসি মো. শাহআলম (এলএলবি) জানান, ‘কমিটি দেয়া না দেয়া বিষয়ে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে উভয়গ্রুপের মাঝে কিল-ঘুষির মতো ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। আমি ঘটনা শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে এএসপি সার্কেলসহ আমরা অবস্থান করছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ জানুয়ারি, ২০১৯