কচুয়ায় দাদা কর্তৃক নাতিনকে ধর্ষণের অভিযোগ

চাঁদপুর কচুয়ায় বাড়ির সম্পর্কীয় দাদা কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাতিন (৭)কে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার শেষ বিকেলে কচুয়া উপজেলার ৫নং তুলপাই ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের খিলমেহের গ্রামে এই পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটলেও ঘটনাটি প্রকাশ পায় সন্ধ্যা ৭টায়। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

ধর্ষণের শিকার রক্তাক্ত শিশুটিকে রাত সাড়ে ৭টায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত প্রায় ১১টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমানে শিশুটি গাইনি ওয়ার্ডের ১নং বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে।

শিশুটির বাবা বারেক হোসেন একজন দিনমজুর। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসিবুল আহসান নিশ্চিত করেন।

হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সেবিকা কোহিনুর বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ধর্ষণের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আলামতও পাওয়া গেছে।

ধর্ষণের শিকার শিশুর মা বলেন, তার শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি টিভি দেখছিলেন। এ সময় একই বাড়ির শিশুটির দাদা সর্ম্পকের জামাল হোসেন মিজি (৬০) ঘরের বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে টিভি দেখছিল। এক পর্যায়ে দাদা জামাল মিজি শিশুটিকে ললিপপ কিনে দিবে বলে ডাকতে থাকে। শিশুটি তার মাকে বলে দাদার সাথে ললিপপ আনতে যাব মা। এ সময় সরল মনে শিশুর মা বলে যাও।

দাদা জামাল মিজি শিশুটিকে দোকানে না নিয়ে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাড়িতে চলে যেতে বলে। রক্তাক্ত জখম ও রক্তঝড়া অবস্থায় শিশুটি একা ঘরে ফিরে এসে কান্নাকাটি করে ও মায়ের নিকট ঘটনা প্রকাশ করে।

শিশুর মা জানান, এ ঘটনায় এলাকাবাসী বিচার করতে চেয়েছে। আমি এলাকার বিচার চাই না। আইন মোতাবেক বিচার চাই। ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। তারা আমাদেরকে বাড়ি থেকে আসতে দেয় না। বাধা সৃষ্টি করে বিলম্ব করেছে।

ধর্ষক জামাল মিজির ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক। তার স্ত্রী আয়েশা বেগম ও পরিবারের আন্যরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে না আসার জন্য বাধা দিয়ে দুই ঘন্টা বিলম্ব করেছে বলে শিশুটির মা জানান।

কচুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ওয়ালীউল্লাহ জানান, এ ব্যাপারে বুধবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে (মামলা নং ১৪)। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ছাড় হবে না।

করেসপন্ডেট,১৭ সেপেটম্বর ২০২০

Share