কচুয়ায় টানা বর্ষণে আলু চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। কচুয়ায় ক’দিনে টানা ৩/৪ দিন বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
কচুয়ায় গত মৌসুমেও অতি বৃষ্টির ফলে আলু চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। গত বছরের ন্যায় এবারও কৃষকরা বৃষ্টির কারণে তাদের কষ্টার্জিত আলু ফলন ঘরে উঠাতে পারেননি।
কচুয়া উপজেলায় চলিত বছর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা আলু চাষ করে বলে জানা গেছে। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও টানা বর্ষণের কারণে মাঠ জুড়ে আলু ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে ।
ফেব্রুয়ারি শেষ ও মার্চ মাসের শুরুতে প্রথম দফায় এ উপজেলার আলু চাষিরা কিছু সংখ্যক আলু ঘরে তোলতে পেরেছে। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় টানা বর্ষণের কারণে কৃষকদের মাঠের আলু পানিতে তলিয়ে পচন ধরেছে।
পচন ধরা আলু তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রায় দু’-আড়াই একর জমির আলু তোলা সম্ভব হয়নি। জমিতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় মাটির নিচে সব আলু পচে পড়ে রয়েছে।
কেউ কেউ আলু তোলার চেষ্টা করলেও শ্রমিক খরচ উঠানোই যেন অসম্ভব। ফলে জমিতেই আলু রয়ে গেছে। এতে করে লাখ-লাখ টাকা বিনিয়োগ পুঁজি হারাতে বসেছে কৃষকরা। কচুয়ায় চলতি বছর বিতারা, দোয়াটি, পালাখাল, সেঙ্গুয়া, কাদির খিল, সহদেবপুর, বাঁচাইয়া, মনপুরা, দরিয়া হায়াতপুর, বড় হায়াতপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় আলু নষ্ট হয়।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ১শ’৯০ হেক্টর । উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ’৩০ টন।
ফসলশীল আলু উত্তোলন করতে না পারার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে আলু বীজ সংকট। স্থানীয় আলু চাষী কড়ইয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের শাহ আলম জানান, ‘১০ একর সম্পত্তিতে প্রায় ৮ লাখ টাকা দাদন নিয়ে আলু চাষ করে আজ আমি সর্বহারা।’
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব ক্ষতিগ্রস্ত আলুর মাঠ পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় আলু চাষীরা তাদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে অচিরেই ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষীদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
জিসান আহমেদ নান্নু
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৪৫ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ