চাঁদপুর কচুয়ায় শুয়ারোল-আটমোড় সড়কের ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। বিগত ১০ বছরেও ব্রীজটি মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় বর্তমানে ব্রীজটির মাঝামাঝি বিশাল আকৃতির ফুটো দেখা দিয়েছে এবং নতুন ভাবে ব্রীজ নির্মিত না হলে যে কোনো সময়ে ব্রীজটি ধসে পড়ে প্রানহানিসহ মারাত্মক দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে এলাকাবাসী জানান, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সময়ে সাবেক এমপি মরহুম রফিকুল ইসলাম রনির আন্তরিক প্রচেষ্টায় শুয়ারোল বাজারের উত্তর-পশ্চিম পাশে আবুল বারেক পাওটয়ারী বাড়ি সংলগ্ন ব্র্রীজটি নির্মিত হয়। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিনিয়ত আশপাশের ২০ গ্রামের হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকে।
ব্রীজটি নির্মানের দীর্ঘদিন পেরিয়ে ও গত ১০বছরেও ব্রীজটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে ব্রীজটি বর্তমানে কয়েকটি ফুটো দেখা দিয়েছে এবং স্থানে স্থানে পচাঁ মাছের আইশের মতো আস্তর ধসে পড়ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ব্রীজটিতে ফাঁটল থাকায় গত দু’বছরে এলাকার বিভিন্ন বয়সী ১০/১৫জন লোক পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছে। বিশেষ করে ব্রীজটি অতি ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় সাচার ডিগ্রি কলেজ, সাচার উচ্চ বিদ্যালয়, বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, শুয়ারোল ও সাচার বাজার মুখী ক্রেতা ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত ও এলাকার মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল,কৃষি ফসলাদি আনা নেয়া করতে পারছে না।
আটমোড় গ্রামের অধিবাসী ও সাচার উত্তর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজ্বী মো. মোসলেম ব্যাপারী বলেন,গত ১০ বছর ধরে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ন ভাবে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জনস্বার্থে আমি নিজ উদ্যোগে ব্রীজে বাঁশ,কাঠ দিয়ে সংস্কার করি। কিন্তু কিছুদিন পর তা আবার আগের মতো হয়ে যায়। ফলে মানুষ অতি কষ্টে ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে। ব্রীজটি নতুন করে দ্রুত নির্মান এখন সময়ের দাবি।
অপরদিকে ঝুঁকিপূর্ন এই ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মান করতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অচিরেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংস্কার কাজ করা হবে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
১০ ফেব্রুয়ারি,২০১৯