কচুয়া

কচুয়া নলুয়া দৌলতপুর সপ্রাবাতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

চাঁদপুরের কচুয়ায় নলুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। একাডেমিক ভবন নির্মাণের ক’বছরের মাথায় তা ফাটল দেখা দিয়েছে।

বতর্মানে শ্রেণি কক্ষের অভাব, শৌচাগার,বিদ্যালয়ের মাঠ না থাকায় ও বিদ্যালয়ের চারপাশে বিশাল আকারের কয়েকটি রেইনট্রি কড়ই ও চাম্বুল গাছ থাকায় মারাত্মক মধ্যে দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে বাধ্য নিরূপায় অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীদের।

জানাগেছে, ১৯৭৩ সালের তৎকালিন সময়ে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে চাহিদা মেটাতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি পূণ:নির্মাণ করা হলে কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবন ফাটল দেখা দেয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকসহ ৫ জন শিক্ষক রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, আমি অতি সম্পতি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি। তবে যোগদানের পর এ বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষসহ নানান সমস্যার বোঝা মাথায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো.জাকির হোসেন বাচ্চু জানান, বিদ্যালয়টি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংস্কার না করায় অবহেলিত রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ও পূর্ব পাশে বিশাল আকারের গাছ থাকায় শিক্ষার্থীরা মনের আনন্দে খেলাধুলা করতে পারছেনা।

বিগত দিনে মাঠে খেলতে গিয়ে কয়েকজন কোমলমতি শিক্ষার্থী মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর ভাবে আঘাত পেয়েছে। তাই বিদ্যালয়টি দ্রুত সংস্কার ও গাছগুলো কেটে মাঠ তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি।

তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ের সামনের গাছ গুলো অপসারনের জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চলতি বছরের শুরুতে উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন দেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.তাজুল ইসলাম,সহ-সভাপতি মো.আমির হোসেন ও কড়ইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.সুমন মিয়াজী জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় প্রতি বছর শতভাগ ফলাফল অর্জনসহ সুনামের সাথে শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পেয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের সামনের অংশের গাছগুলো বিদ্যালয়ের স্বার্থে দ্রুত অপসারণ করে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র তৈরি করলে কিছুটা সমস্যা সমাধান হবে।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি মেধাবী ছাত্রী ফাইমা আক্তার ও ৪র্থ শ্রেণির মেধাবী খাদিজা আক্তার জানান, বিদ্যালয়ে ফাটল দেখা দেয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে দিয়ে ক্লাস করে যাচ্ছি। আমাদের বিদ্যালয়টি দ্রুত সংস্কার কিংবা নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাই।

এ দিকে স্থানীয়রা ওই বিদ্যালয়ের সামনের বিশাল গাছগুলো অপসারণ করে শিক্ষার্থীদের খেলার পরিবেশ সৃষ্টি ও নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু

Share