উপজেলা সংবাদ

কচুয়ায় জোরপূর্বক বালি উত্তোলন : হুমকিতে কৃষি জমি ও সরকারি খাল

কচুয়ায় সরকারি খাল ও ব্যক্তি মালিকীয় কৃষি জমি থেকে ড্রেজারে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি ক্রয়ের নামে জনৈক শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে এ মাটি কেটে নিচ্ছে।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি মনপুরা গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদীন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৭৯নং চক মোহাম্মদপুর মৌজায় ২৪৮ ও ২৪২নং দাগে কোয়া-চাঁদপুর গ্রামে মোঃ শাহজাহান মিয়া ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে। বর্তমানে শাহজাহান মিয়া তার ক্রয়কৃত ভূমিতে ৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বালি বিক্রি করে আসছে। টানা কয়েক বছর ওই ভূমিতে ড্রেজারে মাটি কাটার ফলে ওই স্থানে প্রায় ৩০-৩৫ ফুট নিচে গভীর হয়ে গেছে বলে পাশ্ববর্তী জমির মালিকরা দাবি করছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ শাহাজান মিয়া নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দিনের পর দিন ড্রেজারে মাটি কেটে অবৈধ এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও শাহজাহান মিয়া তার জমি সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর ও মনপুরা গ্রামের মধ্যবর্তী খালে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি কেটে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে ড্রেজারে মাটি কেটে নেয়ার ফলে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক হাজী জয়নাল আবেদীন, লাল মিয়া, মনির হোসেন, ইলিয়াস গংসহ কয়েকজনের জমি শাহজাহান মিয়ার পুকুরে ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে।

ড্রেজারে মাটি না কাটার জন্য শাহজাহান মিয়াকে বারবার অনুরোধ করা হলেও জমির মালিকদের কথা কর্ণপাত না করে সে এখনো মাটি কেটে অন্যত্র বালু বিক্রি করে আসছে। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে পার্শ্ববর্তী মালিকদের জমি যে কোনো সময় নিচের দিকে তলিয়ে যাবে। হুমকির মুখে পড়বে কৃষি জমি।

বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী ও গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ৮নং কাদলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, চক মোহাম্মদপুর মৌজায় বিভিন্ন দাগে শাহজাহান মিয়ার প্রায় ২ একর ক্রয়কৃত সম্পত্তি রয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবর মনপুরা গ্রামের আঃ আজিজ ও হাজী জয়নাল আবেদীনের অভিযোগে ভিত্তিতে আমরা সরজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছি। তদন্তকালে শাহজাহান মিয়া তার জমিতেই মাটি কাটছে বলে দেখা যায়। তবে এভাবে দিনের পর দিন ড্রেজারে মাটি কাটলে ভবিষ্যতে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা বিপাকে পড়বে।

এদিকে অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়ার বক্তব্য মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারি খাল থেকে বালি উত্তোলন করি না, নিজের জমিকে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে বালি উত্তোলন করেছি।’

তার দাবি এ বালি উত্তোলনে কারো কোনো কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে না। তবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে।

কচুয়া করেসপন্ডেন্ট ।। আপডেট : ০৪:২৭ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, রোববার
ডিএইচ

Share