কচুয়া

কচুয়ায় জীবনের ঝুকি মানুষের সেবা করছেন পল্লী চিকিৎসক

চাঁদপুরের কচুয়ায় মহামারী করোনায় জীবনের ঝুকি মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন গ্রাম্য চিকিৎসক ডা.গুরুপদ দে জুয়েল। যদিও সেবাই ডাক্তারের ধর্ম। তার পরেও অনেক ডাক্তার জীবনের ঝুকি নিতে চাননা। তেমনী ব্যতিক্রমী হয়েছেন,ডা. গুরুপদ দে জুয়েল। তিনি, তার ভাই ডা.হরিপদ দে পলাশ ও তার বাবা হারাধন দে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের নিয়মিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

বর্তমানে মহামারী করোনায় সারা দেশের মানুষ যখন আতংকিত হয়ে পড়েছে। সে সময় মানুষে বিপদে নিজের জীবন বাজি রেখে সেবা দেয়ার নাম মানবতা। আর এমনি মাবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন, পল্লী এলাকায় অবস্থিত ডাক্তার বাড়ী খ্যাত মাববিক ডা.গুরুপদ চন্দ্র জুয়েল।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের বাসিন্দা ডা.হারাধন চন্দ্র সরকার তাঁর বাবার হাত ধরে প্রায় ৫০ বছর ধরে মেঘদাইর গ্রামে গ্রামীন জনপদে এলাকায় গরীর-অসহায় মানুষে সেবা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা চিকিৎসা নেয়ার অনেক অসহায় মানুষকে তিনি বিনা পয়সায় বহু চিকিৎসা পত্র লিখে দিয়েছেন। যার ফলে অনেকের কাছে তিনি গরীবের ডাক্তার হিসাবে পরিচিত।

ডা. হারাধন দে জানান, সেবাই ডাক্তারের ধর্ম। আমার প্রয়াত বাবা ও দাদা মানুষকে এ চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। বর্তমানে আমি ও আমার দু’ছেলে মিলে এলাকার সাধারন মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যতদিন বাঁচবো মানুসের সেবা করে যাবো।

এদিকে এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে যদিও তাদের মেঘদাইর প্যাথলজি ত্র্যান্ড ডক্টরস চেম্বারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে ফ্রিজ, ল্যাপটপ,অ্যানালাইজার মেশিনসহ ১৫ লক্ষ টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি পুড়ে যায় এবং অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পান ডা. হরিপদ দে পলাশ তার পরেও তারা মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

সেবা নিতে আসা কান্দিরপাড় গ্রামের অধিবাসী মো. জয়নাল আবেদীন জানান, আমি আমার মেয়ের সাথে নাতনীকে নিয়ে এসেছি। এস্থানে ডাক্তারদের আন্তরিক ব্যবহার ও তাদের হাতের জোস ভালো। তাইআমার পরিবারসহ এলাকার মানুষকে নিয়ে এ ডাক্তারদের সেবা নিয়ে থাকি।

অপর সেবা গ্রহিতা নাজমা বেগম জানান, দূরে গেলে আমরা উন্নত ও ভালো সেবা পাইনা। তাই আমি সব সময় এ স্থানে এসে কম খরচে ডা. গুরুপদ দে জুয়লের সেবা নিয়ে ভালো হয়ে থাকি। আমি মন থেকে তাদের জন্য দোয়া করি।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২১ মে ২০২০

Share