‘কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে’ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ভয়ে ঘরবন্দি সব মানুষ। পেটের দায় পড়লেও কৃষকেরাও প্রাণের ভয়ে গৃহবন্দি। এতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক। চলতি মৌসমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতংকে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় শ্রমিক সঙ্কটে থাকা এলাকা গুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তা করছেন চাঁদপুরের কচুয়ার স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক যুব সংগঠন আলোর মশাল। একই সঙ্গে খাদ্য সঙ্কটে থাকা অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা তুলে দিচ্ছে সংগঠনটি।
২১ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটী গ্রামের সমস্যাগ্রস্থ কৃষক ঠাকুর দাসের ১৮ শতাংশ জমির পাকা ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দিয়েছেন আলোর মশাল যুব সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছেন আলোর মশাল সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
কৃষকের এই ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ নেন, সংগঠনের উপদেষ্টা মো. জাকির হোসেন বাটা, সভাপতি মো. ওমর ফারুক সায়েম (আবু সায়েম মৃধা) সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, সদস্য নোমান, সাজ্জাদ, বোরহান মিয়াজী, শাহাদাত হোসেন, ফাইম, রাকিব প্রমুখ।
যুব সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক সায়েম বলেন‘চলমান করেনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। মানবিক দিক বিবেচনায় সমস্যাগ্রস্থ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি।’
তিনি জানান‘কচুয়ার অন্য কোন কৃষকের ধান কেটে দেয়ার প্রয়োজন মনে হলে আমাদের হটলাইন ০১৭৭৭৯৭৯৬৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করলে সংগঠনের সদস্যরা আন্তরিক ভাবে সাড়া দেয়ার চেষ্টা করব। দেশের সংকটময় মুহর্তে কৃষকদের সহায়তায় এমন সময়ের তরুন ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানান।’
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু, ২১ এপ্রিল ২০২০