চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহবায়ক শুভ জিৎ দাসের নেতৃত্বে উপজেলার ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা, কলামিয়া গ্রামের দু’কৃষকের ৫০ শতক জমি ধান কেটে দেয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কাটা কার্যক্রম টানা ৭ দিন ধরে অব্যাহত রেখেছেন।
বর্তমানে প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস কারনে শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষকেরা বিপাকে পরেছে, মোবাইলে হ্যালো ছাত্রলীগ বলে ফোন করলে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কৃষক ও এলাকাবাসীরা ছাত্রলীগের এমন মহৎ উদ্যোগ দেখে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান তাদের।
কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকার বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ড.সেলিম মাহমুদ, ও জেলা ছাত্রালীগের নির্দেশনা মোতাবেক শ্রমিক সংকট দূর করতে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা সারা দিন কৃষকের ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। কচুয়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সে কাজ করে যাচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক না হবে আমাদের সেবা মূলক সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মো.সোহাগ উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিল না কৃষকরা। বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও জেলা ছাত্রালীগের পরামর্শ ছিল কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর। আমরা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী গিয়ে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেই। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ন-আহবায়ক শুভ জীৎ দাস জানান, এবার ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে দরিদ্র কৃষকরা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। বিষয়টি অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছাত্রলীগ কৃষকের ধানকাটা কার্যক্রম শুরু করে। যেকোনো মানবিক সঙ্কটে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগ। এই দুঃসময়ে প্রত্যেকের উচিত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। উপজেলা ছাত্রলীগের ধানকাটা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কৃষক মো. ময়না মিয়া বলেন,করোনার মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তাছাড়া মহামারি করোনা ভাইরাস কারনে উপার্জন বন্ধ হওয়ায় নগদ টাকার সংকটতো আছে। এই দুশ্চিন্তা ও সংকটের মাঝে সকালে ছাত্রলীগের ১শ’ নেতাকর্মী এসে ধান কেটে দিয়ে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেন।
নাউলা গ্রামের কৃষক কালু মিয়া বলেন, করোনার কারণে ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আর এই সংকটের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে আমার ধান কেটে দিচ্ছে। ধান কাটা নিয়ে কৃষক সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছিল। কিন্তু, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসায় কৃষকরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। আমরা আশা করব, এভাবে পুরো ধান কাটা মৌসুমে কৃষকের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বিপদের সময় ছাত্রলীগ যে উপকার করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই মুন্সি, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকার, সিনি. যুগ্ন-আহবায়ক সোহাগ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বোরহান উদ্দিন বিপ্লব, যুগ্ম আহবায়ক শুভজিৎ দাস, মো.মেহেদী হাসান, মো.সাকিল মুন্সি তাবির, সদস্য মেহেদী হাসান উপল, গোহট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল হাসান সুমন, সাধারন সম্পাদক মো. রায়হান সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জালাল প্রধান, ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন,কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, নাহিদ হোসেন,রাকিব তালুকদার, সাগর মজুমদারসহ স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২৮ এপ্রিল ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur