চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুতের খুঁটি, বেশ কিছু কাঁচা-ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ও ফলন্ত ইরি বোরো ধানসহ নানাবিধ ফসলের ক্ষেত।
বুধবার রাতে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় উপজেলার মানচিত্র।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার মাঝিগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার টিনগুলো উড়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। মাদ্রারাসার বিভিন্ন কক্ষগুলো ভেেেঙ্গ নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে ইরি ধান ক্ষেতে হাটু সমান পানি জমে থাকায় কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলা সাচার, পালাখাল, ভ‚ইয়ারা, দহুলিয়া, মেঘদাইরসহ বিভিন্ন এলাকাতে কৃষকের অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
ভূট্টা, ইরি ধান, গমসহ বিভিন্ন ফসলি জমিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে কৃষকেরা লাভের চেয়ে দ্বিগুন ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছে।
ঝড়ে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ফাটলসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দালানে ফাঁটল ধরেছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ভবন ফাটলের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- উপজেলায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে ইরি ও বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। অতি বৃষ্টি ও ঝড়ের তান্ডবে কৃষেকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক আবুল বাসার বলেন, অনেক কষ্ট করে জমিতে ভূট্টা ও ইরি ধান রোপন করেছি। এনজিও সংস্থা থেকে ঋন নিয়ে চাষাবাদ করেছি। ঝড়ে সব নষ্ট হয়ে গেল। ঋনের বোঝা নিয়ে এখন বড়ই বিপাকে রয়েছি।
প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur