কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় একক প্রার্থী মনোনীত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সকাল পৌণে ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
সভায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহরাব হোসেন মজুমদার, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোখলেছ মুন্সী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আ. হামিদ খান তাদের বক্তব্যে বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালুকেই এ পদে সমর্থনের দাবি জানান। এতে অপর ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জোটবদ্ধ হয়ে কাউন্সিল নয়, বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যতীত যাকে নেতাকর্মীরা সমর্থন দেয় আমরা তার নির্বাচন করবো বলে সভা স্থান ত্যাগ করেন। এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ ইউনিয়নের বর্ধিত সভা স্থগিত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম লালু বলেন, কাউন্সিলের শুরুতে কয়েকজন কাউন্সিলর আমাকে সমর্থন জানায়। কাউন্সিলে আমার ৯০ ভাগ ভোট আছে জেনে ৯ জন প্রার্থী গোলযোগ সৃষ্টি করে সভাস্থল ত্যাগ করে।
এ ব্যাপারে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক আলমগীর তালুকদার জানান, পরিবর্তনের লক্ষ্যে উন্নয়নের পক্ষে এবার আমরা ৯ জন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এক হয়েছি। আমাদের এ ৯ জনের মধ্যে ইউনিয়ন ও দলীয় নেতাকর্মীরা যাকে সমর্থন দিবেন তিনি হবেন দলীয় মনোনীত প্রার্থী এবং তার পক্ষে সবাই কাজ করে যাবো।
কাদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও কাউন্সিল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থনে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল কচুয়ায় আসতে থাকে।
এদিকে কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম লালুর ভগ্নিপতি মো. নজরুল ইসলাম স্বপন (৪০) ওই দিন দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বর্ধিত সভায় যোগদান শেষে চৌমুহনী বাজারে ব্রীজ সংলগ্ন তার দোকানের সামনে পৌছলে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলায় নজরুল ইসলাম স্বপন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
আহত নজরুল ইসলাম স্বপন জানান- দুপুরে কচুয়া থেকে তার দোকানের সামনে পৌঁছলে এলাকার চিহ্নিত বহু অপকর্মের হোতা আনিস, জহির ও কাউসার হঠাৎ আমার উপর হামলা করে সিএনজি উঠে পশ্চিম দিকে চলে যায়। হামলাকারীরা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম পাঠান স্বপনের সমর্থক বলে জানান।
||আপডেট: ০৯:০১ অপরাহ্ন, ৩১ মার্চ ২০১৬, বৃহস্পতিবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর