কচুয়া উপজেলার দেবীপুর গ্রামে এক পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে আছে পুরো গ্রামবাসী। এ যেন জোর যার, মুল্লুক তার।
এ ব্যাপারে দ্রæত প্রতিকার চেয়ে কচুয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার নীলিমা আফরোজের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার দেবীপুর গ্রামের অধিবাসী মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র মো. আব্দুল হক তার বাড়ি সংলগ্ন পশ্চিম-উত্তরাংশে সরকারি ব্রীজ ও রাস্তার পাশে গত ৩বছর যাবত সীমানা প্রাচীন ও বাস দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে গ্রামবাসীর চলাচল জোর পূর্বক বন্ধ রেখেছে।
যার ফলে দেবপুর, মহদ্দিরভাগ, কাদলা ও রঘুনাথপুর গ্রামসহ কয়েক গ্রামের শত শত লোকজন যাতায়াত করতে পারছেনা।
বিশেষ করে ফসলী মৌসমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ঘরে উত্তোলন, কৃষি কাজে যাতায়াত, ব্রীজের সঠিক ব্যবহার, বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা যাওয়া আসা করতে পারছেনা।
দেবপুর গ্রামের অধিবাসী ও ব্যবসায়ী মাও. ফিরোজ আহমেদ, কৃষক রফিকুল ইসলাম, জামাল হোসেন, আব্দুস সামাদ, আলী আর্শ্বাদ, আবু বকর মিয়া, আব্দুল কাদেরসহ আরো অনেকে জানান, এ গ্রামের পূর্ব পুরুষরাও এ পথে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিকাজ ও যাতায়াত করতো।
গত ক’বছর আগে সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম মিয়ার দায়িত্ব কালিন সময়ে রাস্তাটি সরকারি অনুদান দিয়ে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আব্দুল হক ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় প্রভাব খাটিয়ে গ্রামবাসীকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য জোরপূর্বক ব্রীজ সংলগ্ন সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে।
সীমনা প্রাচীরের বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, খাস জমিতে নয়, আমাদের জমির সীমানায় আমরা দেয়াল ও বেড়া দিয়েছি।
এদিকে জনস্বার্থে দ্রæত সীমানা প্রাচীর ও বাশেঁর বেড়া উঠিয়ে নিতে জোরদাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার নীলিমা আফরোজ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু কচুয়া
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ২০ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার
এইউ