কচুয়া

কচুয়ায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া সেই সন্তানগুলো আর বেচেঁ নেই

চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রদীপের আলো হয়ে মারুফা আক্তারের কোলে এসেছিল ৫ শিশু। নবজাতকদের আগমনে সবার চোখে মুখে ছিল আনন্দের বন্যা। কিন্তু রাতে পোহাতেই এমন পুরো দৃশ্য পাল্টে গেল। কান্না আর ভারাকান্ত মনে ভারী হয়ে গেল বাতাস। কেউ কি ভেবেছিল একে একে নিভে যাবে ৫টি সদ্যজাত প্রাণ। নির্মম ও অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের কচুয়ার আন্দিপাড় গ্রামে।

জানা গেছে, শনিবার রাতে কচুয়া বিশ^রোড এলাকার টাওয়ার হাসপাতালে অপরিনত সময়ে জম্ম হয় এক সঙ্গে ৫শিশু। তাদের মধ্যে ৪ ছেলে ও ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রসবের ঘন্টা খানেক পর মারা যান ৩টি শিশু। রাতেই জীবিত অন্য ২টি শিশু নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন মারুফা আক্তার। কিন্তু তাদেরও শেষ রক্ষা হলনা। রবিবার সকালে মারা যায় বাকী ২শিশু।

এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ও হাসাপাতালে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। এমন নবজাতকদের শিশুদের দেখতে হাসাপাতালে রীতিমত ভিড় জমে যায়। বাড়ি নিয়ে যাবার পরও অনেকে তাদের দেখতে আসেন। ভোর হতে না হতেই তার পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া ও নিস্তদ্ধতা নেমে আসে।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকড়ই গ্রামের ইউনুছ মিয়া জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে তার স্ত্রী মারুফার আক্তারের প্রসব ব্যথা দেখা দিলে ওই হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় প্রসূতির বর্ননা শুনে হাসাপাতলের চিকিৎস্যক তাকে আলট্রাসনোগাম করেন। এসময় প্রসব ব্যথা তীব্র হতে শুরু করলে মারুফা আক্তারকে অপারেশন টিয়েটারে নেয়া হয়। সেখানে স্বাভাবিক ভাবে ৪টি ছেলে ও ১টি কন্যা সন্তান প্রসব হয়।

কচুয়া টাওয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক সিনথীয়া সাহা জানান, মূলত অপরিণত হয়ে জম্ম হওয়ায় ৫শিশু মারা যায়।

স্টাফ করেসপন্ডেট,১৬ আগস্ট ২০২০

Share