ঈদ মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বিগত বছরে ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত কর হলেও এ বছর মহামারী করোনার কারনে বড় ধরনের গণ জমায়েত না করে ঈদের নামাজ আদায়ের দিদের্শনা দেয়া হয়। সরকারী নির্দেশনা ও মানুষের জীবনের নিরাপত্তার সার্বিক চিন্তা কওে কচুয়ায় বিভিন্ন মসজিদে পৃথক পৃথক ভাবে সামাজিক দূরন্ত বজায় রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে ধর্মপ্রান মুসুল্লিরা।
বিশেষ করে দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুসল্লীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এবছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে নামাজ পড়তে অনুরোধ করা হয়েছে।
নতুন পোশাক পরিধান করা,পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করা, ভালো ও উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করা, পারস্পারিক ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা, ঈদগাহে বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা, ঈদগাহ মাঠের পাশে শিশুদের আনন্দ উৎসব, বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি, বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, ধনী ও স্বল্প আয়ের মানুষের মনে খুশির হাসির নামই হলো বাংলার ঈদ আনন্দ।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুশিয়ারি ও আইইডিসিআর এর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে এ বছরে ঈদের জামাত সীমিত পর্যায়ে করে মসজিদে মসজিদে করা হয়েছে। এদিকে কচুয়ার বিভিন্ন এলাকার নিজ নিজ পাড়া মহল্লা এবং মসজিদে এবার ঈদের নামাজ সাধারন মানুষ পড়ছে। মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো এবার দেখা যায়নি।
মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে কচুয়ার সব ক’টি মসজিদে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করেছে খতিব ও ইমামগণ। তবে কোথাও কোন ধরনের অপ্রতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২৫ মে ২০২০