কচুয়া

কচুয়ায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু

কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাচার জগন্নাথ ধাম, পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের সাবেক সফল সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক বাবু তিমির সেন গুপ্ত পরলোকগমন করেছেন।

তিনি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ল্যাব এইড হসপিটালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি শনিবার নিজ বাসা ঢাকার রাজারবাগ-শান্তিবাগ এলাকার বাসায় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসারত অবস্থায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যান।

মৃৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে, ২ ভাইসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
ওই দিন বিকেল ৫টার সময় শেষকীর্ত্তিদাহ শেষে তাঁকে ভক্তবৃন্দের শেষ চোখের জলে সাচার গ্রামে পারিবারিক শ্বসনে সমাহিত করা হয়।

তাঁর মৃত্যুতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, জাপান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন প্রধান, পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার ভূঁইয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবক নাছির উদ্দিন প্রধান, ২নং পাথৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, সাচার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিন্নত আলী তালুকদার মিনু, সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাচার জগন্নাথ ধাম, পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের আহবায়ক বটু কৃষ্ণ বসু, সাবেক সাধারন সম্পাদক নিখিল দাস, যুবলীগ নেতা নিমাই সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাহার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, কচুয়ার উত্তর জনপদের সাচার গ্রামের জমিদার বাড়ী খ্যাত, প্রয়াত শ্রীষ সেন গুপ্তের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট সমাজ সেবক বাবু তিমির সেন গুন গুপ্ত তাঁর বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনে এলাকায় একজন দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সাচারের বাসায় অতিথি কিংবা পরিচিত কেউ এলে কিছু না কিছু খাবার না খেয়ে ফিরতে পারেননি। অর্থাৎ ভাত না খেলেও অন্তত সাদা পানিও খেতে হতো।

তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ঐতিহ্যবাহী সাচার জগন্নাথ ধাম, পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ছিলেন। তাঁর সময়ে অর্থাৎ ২০১৭ সালের শেষের দিকে সাচার জগন্নাথ ধাম, পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের মূল মন্দিরের নির্মান কাজ শুরু হয়ে বর্তমানে তা দৃশ্যমান অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিমির সেন গুপ্তই ওই কাজের প্রধান উদ্যোক্তা ও পৃষ্ঠপোষক। তিমির সেন গুপ্ত সাচার ডিগ্রি কলেজ, সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য ও এলাকায় বহু মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুতে একজন সৎ-সাহসী মানুষকে হারালো সাচারবাসী। সারা জীবনেও এমন একজন স্বপ্নবীর তিমির সেন গুপ্ত কে ফিরে পাবেনা এলাকাবাসী। তিমির সেন গুপ্তের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১৮ জুলাই ২০২০

Share