ব্যাংকে কয়েনগুলো না নেয়ায় ব্যবসায়ীদের চরম দূর্ভোগ
চাঁদপুরের কচুয়ায় বেকারী, মুদি-মনোহরী দোকানে অলস পড়ে আছে ৫,২ ও ১টাকা মূল্যের কয়েক লাখ টাকার কয়েন। স্থানীয় ব্যাংকগুলোতে এসকল কয়েনগুলো লেনদেন করার বিধান থাকলেও তারা না নেয়ায় ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে।
উপজেলার প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীক কেন্দ্র সাচার বাজার ঘুরে দেখা যায় মুদি-মনোহরী ও বেকারীগুলোতে দিনের পর দিন এ সকল কয়েনগুলো পড়ে থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে নেয়া কয়েনগুলো একত্রে গণনা করে ব্যাংকে জমা দেয়ার চেষ্টা করলে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাত তোলে।
সাচার বাজারের জনতা বেকারীর পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, “আমার দোকানের ক্যাশে গত কয়েক মাস যাবৎ প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকার মুদ্রা কয়েন পড়ে রয়েছে। উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে বেকারীর খাদ্য সামগ্রী বিক্রির উত্তোলনকৃত এসব মুদ্রাগুলো পেয়ে থাকি। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুদ্রা পয়সাগুলো আমরা নিয়ে থাকলেও স্থানীয় ব্যাংকগুলো এসকল খুচরা পয়সা গুলো নিচ্ছে না। ফলে আমরা এসকল খুচরা মুদ্রা পয়সা নিয়ে ভোগান্তিতে আছি।”
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সাচার বাজারের ইসলামী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাগণ মুদ্রা পয়সাগুলো গ্রহণ না করায় এ বাজারে কয়েক লক্ষ টাকার মুদ্রা পয়সা অলস পড়ে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের খামখেয়ালীপনার কারণেই এ বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার কয়েন অলস পড়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক সাচার শাখার সেকেন্ড ম্যানাজার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, “ব্যাংক ব্যবস্থাপকের অনুমতি না থাকায় আমরা কয়েন গুলো নিতে পারছিনা।”
অপরদিকে সোনালী ব্যাংক সাচার শাখার ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, “ব্যাংকে কয়েন রাখার সু-ব্যবস্থা না থাকায় আমরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসব কয়েন গ্রহণ করছি না।”
তবে এ বিষয়ে জানতে সাচার কৃষি ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকের মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আপডেট ৮:২০ পিএম ০১ নভেম্বব, ২০১৫ রোববার
ডিএইচ
জিসান আহমেদ নান্নু