চাঁদপুর কচুয়ায় অবৈধ ভাবে খাল ভরাট,বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করে মাছ চাষ এবং অসময়ে অতিবৃষ্টির কারণে নামছে না আবাদির জমির পানি। উপজেলার আব্দুল্লাপুর,নয়াকান্দি ও বাচাঁইয়া বিভিন্ন বিলের পানি এখনো না কমায় বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা।
ফলে বিলম্ব হচ্ছে বোরোসহ রবি শস্যের আবাদ (চাষ)। আর সময় মতো চাষ করতে না পারলে লক্ষ্যমাত্রা ব্যহতের আশংকা করছেন উপজেলা কৃষি দপ্তর। সেই সাথে রবিশস্যের আবাদ নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে শতশত কৃষকরা।
গত কয়েক বছর যাবৎ উল্লেখিত সমস্যগুলো চলমান থাকলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি, সরকারি সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগ বা দপ্তরকে।
উপজেলার বাচাঁইয়া এলাকায় বিল ঘুরে দেখা গেছে, বিলের পানি নামার জন্য যেসব খাল রয়েছে ওই খালের সংযোগে সরকারি ব্রিজের সামনের অংশ স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল বারাকাত বাবুল ভরাট করে মৎস্য ফিসারী ও সিএনজি ফিলিং স্টেশন তৈরি করেছেন।
এসব কারণে বিলের পানি যথাসময়ে খালে নামতে পারছে না। তাছাড়া চলতি বছরে অতিবৃষ্টির কারণেও বিল ও নিচু জমিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গতবার এই সময় কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণের কাজ শুরু করেছিলেন। এবার পানি না সরায় এখনও বীজতলা তৈরি ও চারা রোপন করতে পারেননি তারা। তাই বোরো ধানসহ রবিশস্যের আবাদ নিয়ে শঙ্কিত তারা।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাপুর,নয়াকান্দি ও বাচাঁইয়া গ্রামের বিলের মাঠের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি চলাচলের সামনের অংশ বেরিবাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করায় পানি নামতে পারছে না। পানি জমে থাকায় চাষীরা ধানচাষের জন্য জমি তৈরি করতে পারছেন না। ফলে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরোর চাষ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি কর্মকর্তা এবং সহকারী উপ-প্রকৌশলীর (ক্ষুদ্র সেচ) দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন জানান, যথা সময়ে বিল থেকে পানি নিস্কাশন না হওয়ার কারনে শষ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, বিলে ও খালে পানি নামার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলেই কৃষক লাভবান হবে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতানা খানম বলেন, বাচাঁইয়া এলাকায় কৃষকের জমিতে পানি জমে প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট,৮ ডিসেম্বর ২০২০