প্রতিদিন এভাবেই হেটে নিজের ছোট্ট দোকানটিতে যান চাঁদপুরের কচুয়ার উপজেলার অভয়পাড়া গ্রামের মাজহারুল ইসলাম। অস্বাভাবিক হলেও এটাই তার স্বাভাবিক জীবন। হাত পায়ের স্বাভাবিকতা হারিয়েছেন জন্ম থেকেই। তবুও দমে যাননি।
নিজ এলাকায় রাস্তার পাশেই ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে করছেন হাতের সুকৌশলে মোবাইল সার্ভিসিং,মোবাইল রিচার্জ ও ইলেক্ট্রনিক্সের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ।
এই অস্বাভাবিক হাত পা গুলোকে মানিয়ে নিয়েছেন স্বাভাবিক যন্ত্রগুলোর সাথে। শুধু তাই নয়, শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও কারো কাছে হাত না পেতে তার অদৌম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সে ইলেক্ট্রনিকস কাজের পাশাপাশি নিখুঁতভাবে করছেন ফটোশপের কাজও। তার এই আঁকাবাঁকা হাতগুলোই এখন পরিবারের একমাত্র চালিকা শক্তি।
তার বাবা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ৮ মে ২০২০ মারা যান। অসচ্ছল সংসারে তিনি এই ছোট্ট দোকানটির উপার্জিত অর্থদিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন কোনরকম। প্রতিবন্ধী হয়েও এখনো মেলেনি কোন প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা অন্যকোন কোন সহায়তা।
নিজের কাজ করার ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্বেও পর্যাপ্ত যন্ত্রাংশ ও অর্থাভাবে পড়ছেন পিছিয়ে। তাই সরকারি বেসরকারি একটু সহায়তা পেলে তিনি দোকানটির কর্মপ্রক্রিয়া বৃদ্ধির পাশাপাশি মা-বোনকে নিয়ে একটু ভালোভাবে চলতে পারতেন। তিনি মনে করেন প্রতিবন্ধী হলে কেউ যেনো কারো কাছে হাত না পেতে ভিক্ষাবৃত্তি না করে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে খান।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২ জুলাই ২০২০