চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর গ্রামে রোববার (১৭ জুন) রাতে বিয়ের বাড়িতে কনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সিগারেট টানায় বাধা দেয়ায় হামলায় অন্তত ১৫ আহত হয়েছে।
আহতরা হচ্ছে- সহদেবপুর (নাংলা) গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান মিয়ার কলেজ পড়–য়া ছেলে জুয়েল রানা (১৮), একই গ্রামের রাব্বী (১৬) রাকিব হোসেন (১৭) রাসেল (১৬) সাদ্দাম (২৫) সিফায়েত হোসেন (১৮) মহিন (১৮) মুসা (২৫) মহীন হোসেন (২৭) ইমাম (২৫) সবুজ (২৭) ও শাখওয়াত হোসেন (২৫)।
আহতদের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত জুয়েল রানার বাবা ইউপি সদস্য বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় মামলা সূত্রে জানাগেছে ওই দিন রাতে একই গ্রামের আমান উল্লাহর মেয়ে তানজিনা আক্তারের গায়ে হলুদে গ্রামের ছেলেরা বিয়ের হলুদ উৎসবে যোগদান করে। এতে ওই গ্রামের রুবেল, জুয়েলসহ অন্যান্য বেশ কয়েকজন যুবক সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা বখাটে রুবেলের নেতৃত্বে ১৫-২০জন উশৃঙ্খল যুবক উপরে উল্লেখিত যুবকদের উপর হামলা করে বেধম মারধর করে। মামলার ঘটনায় স্থানীয় জনতা পালানোর সময় মামলার ৪নং আসামী জুয়েল ২৫কে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবু হানিফ জানান, মামলা আসামী হিসেবে জুয়েলকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনায় আমার ছেলে সহ অন্যান্যদের মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিপক্ষরা আমাকেও মারধরের জন্য প্রতিনিয়ত গ্রামে লাঠি সোটা নিয়ে পাহাড়া দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
কচুয়া করেসপন্ডেন্ট