২০১২ সাল থেকে চাঁদপুরের কচুয়া-সাচার সড়কের সাচার বাজারের দক্ষিণ পাশে সাচার চৌধুরী দিঘীর পাড় মাদ্রাসা আন্তর্জাতিক মানে হাফেজ তৈরি করে আসাছে। গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় এ মাদ্রাসায় দুটি ভাগে শিক্ষাদান করা হচ্ছে।
একটি হচ্ছে- ইবতেদায়ী (প্রাথমিক) ও অপরটি কোরআনে হেফজ বিভাগ। ইবতেদায়ী নূরানী ও কোরআন হেফজ বিভাগে বর্তমানে ১৬২জন গরীব, এতিম ও মেধাবী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।
মাদ্রাসার মুহতামিম (হেফজ বিভাগ) হাফেজ মোঃ নুরুদ্দীন জানান, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু’টি শাখায় প্রতি বছর কোরআনে হাফেজ হয়ে আসছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকার অধ্যয়নরত এ মাদ্রাসার প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী কোরআনে হাফেজ হয়েছে।ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা এই নুরানী মাদ্রাসায় হাফেজ মোঃ নুরুদ্দীনের সহায়তায় পবিত্র কোরআন শিক্ষা নিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অধ্যায়ন তথা সুনামের সাথে কর্মরত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সাচার চৌধুরী দিঘীর পাড় নূরানী মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মোঃ নুরুদ্দীনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও তার সহযোগিতায় ২০১৭ সালের রমজান মাসে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হেফজ কুরআন প্রতিযোগীতায় ১শ ৪টি দেশের মধ্যে তার ছাত্র দাউদকান্দি উপজেলার মালিগাও গ্রামের অধিবাসী মোঃ আবু বকর মাস্টারের অবাক বিস্ময়কর পুত্র হাফেজ মোঃ তরিকুল ইসলাম প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়েছে।
তাছাড়া তার অপর ছাত্র ময়মনসিংহের হাফেজ আইনুন আরেফিন হাফেজ আলআমিন ও হাফেজ ফয়সাল সৌদি আরবে কোরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বর্তমানে সরকারি উচ্চ পদস্থ চাকরীতের কর্মরত রয়েছে।
মাদ্রাসাটিতে প্রায় দেড় শতাধিক গরীব, অসহায়, এতিম ও মেধাবী শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআন শিক্ষা গ্রহনকারী দের আবাসিক ও একাডেমীক ভবন না থাকায় নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
তাদের এ সমস্যা সমাধানে উপজেলা প্রশাসন, বণার্ঢ্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।