চাঁদপুরের কচুয়ার পাথৈর গ্রামের কৃতি সন্তান,শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মো. মহব্বত আলী দক্ষিণ কোরিয়ার সুনচন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সর্বোচ্চ পিএইচডি লাভ করেছেন। ড. মো. মহববত আলী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পাথৈর গ্রামের সম্ভান্ত্র পরিবারের মো. ইসমাইল মিয়াজীর তৃতীয় ছেলে এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও পাথৈর হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মো. মকবুল হোসেন মিয়াজির ছোট ভাই।
উল্লেখ্য যে, তিনি ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে পিএইচডি শুরু করেন এবং সাড়ে তিন বছর পর ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এ পিএইচডি অর্জন করেন। ড. মহব্বত আলী গবেষণা ছিল নতুন প্রজাতির উন্নত মানের দেশি মুরগি কার্যকরী উপাদান নির্ণয় এবং মাংস ও মাংস জাত পন্যে ক্ষতিকর সিন্থেটিক ফসফেটের বিকল্প কার্যকরী এডিটিভস আবিষ্কার করা। ইতোমধ্যে তিনি তার গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশ করেছেন। পিএইচডি তে তিনি সর্বমোট বারোটি প্রকাশনা করেছেন যার মধ্যে নয়টি এসসিআই অধিভুক্ত জার্নাল।
আরো উল্লেখ্য যে, তিনি বেস্ট রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড সহ মোট পাঁচটি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা স্মরণ করেন। তিনি ২০০০ সালে অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন এবং ২০০৩ সালে সাচার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে এ গ্রেড পেয়ে ২০০৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এ প্লাস অর্জন করেন।
পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ হতে ২০১১সালে অনার্সে প্রথম শ্রেণীসহ ২০১৩ সালে মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ২০১৩ সালে ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে এ্যানিমেল প্রোডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে যোগদান করেন।
ড. মহব্বত আলী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, মহান শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কাজ করে যেতে চাই। তাঁর এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলের দোয়া চেয়েছেন। এদিকে কচুয়া উপজেলার পাথৈর গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মো. মহব্বত আলী কৃষি গবেষনায় পিএইচডি অর্জন করায় তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২