অতিরিক্ত কচুরিপানায় মতলব ধনাগোদা নদীতে নৌ চলাচল ব্যাহত

চাঁদপুর মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ধনাগোদা নদী। এই দু’উপজেলার জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম খেয়া পারাপার।

নদীর আমিরাবাদ লঞ্চঘাট থেকে কালিপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কচুরিপানার জট লেগে আছে। এতে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মতলব ধনাগোদার গাজীপুর মোড়, সাহেব বাজার, লক্ষ্মীপুর, টরকী, মাছুয়াখাল, শাহপুর, নায়েরগাঁও ও নন্দলালপুর খেয়াঘাট এলাকায় কচুরিপানা জমাট বেঁধে আছে। এতে খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

মতলবের খেয়াঘাটের নৌকার মাঝি লিয়াকত আলী জানান, ‘কস্তুরি ঠেইলা নদী পার অইতে কষ্ট লাগে। পাঁচ মিনিটের জায়গায় লাগে ৩৫-৪০ মিনিট। যাত্রীগো মধ্যে চার-পাঁচজন পুরুষ মানুষ না থাকলে নাও (নৌকা) ছাড়ি না’।

মতলব ফেরির চালক রহিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, নদীতে কচুরিপানার জটের কারণে ফেরি চালাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

পশ্চিম বাইশপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম খান জানান, নৌকা দিয়ে পার হতে অনেক সময় লাগে, তাই ফেরি দিয়ে নদী পাড় হতে অপেক্ষা করছি।

এ ব্যাপারে ডা. মো. ইসমাইল হোসেন,ঠেটালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য গোলাম নবী খোকন, মাহফুজ চৌকিদার, অধ্যাপক মোরশেদুল আলম, ব্যবসায়ী মো. সোহরাব হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, নদীতে কচুরিপানার জন্য খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। সেই সাথে নিজেদের বৈঠাও ধরতে হয়।

প্রতিবেদক-কামাল হোসেন খাঁন
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ১১ : ১৫ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৭ শুক্রবার

এজি/এইউ

Share