চাঁদপুরের কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে জমে আছে পানি। উঠে গেছে রাস্তার পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পাথর। এ যেন সড়ক নয়, মরণফাঁদ। কয়েক মাস ধরে চরম দুভোর্গ শিকার হচ্ছেন যানবাহন ও যাত্রীরা। বিশেষ করে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমন আরো বেশি নাজুক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে কচুয়া-সাচার সড়কের বাছাইয়া থেকে বাতাপুকুরিয়া পর্যন্ত । এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গণপরিবহণ ও যাত্রীরা। মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নোয়াখালী,লক্ষীপুর,চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের যানবাহন গুলো যাতায়াত করে। সংস্কারের অভাবে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারহীন থাকায় প্রায় ৬ কিেিলামিটার জুড়ে সড়কটি ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ক্ষত আরও বৃদ্ধি পেয়েছে টানা বৃষ্টিতে। সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই যাত্রীদের এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকে সময় যাত্রীরা অটোরিকশা থেকে পড়ে আহত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে গণপরিবহনগুলোকে চলতে হচ্ছে এঁকেবেঁকে হেলেদুলে। যা চালকদের জন্যে অস্বস্তিকর। রোগী নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটা অসম্ভব।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। এতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন পর্যন্ত সংস্কার না করায় টানা বৃষ্টিতে পুরো সড়কটি আরো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অতিদ্রুত সড়কটির সংস্কার দাবি করেছেন তারা।
সিএনজি চালক নবীর,অহিদ হোসেনসহ একাধিক লোকজন বলেন, সড়কের দুরাবস্থার কারণে বড় বড় যানবাহনগুলো কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও তাদের সিএনজি ও অটোরিক্সা নিয়ে এই সড়কে চলাচল করা অসাধ্য ব্যাপার। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে যায়। এতে অনেক যাত্রী পড়ে আহত হচ্ছেন।
একাধিক ট্রাক ও বাস চালক জানান, সড়কটির অধিকাংশ স্থানেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই যাত্রী ও মালামাল নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের হাজীগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. মহিউদ্দিন জানান, এ রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃষ্টির কারনে রাস্তা সংস্কার করতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। অচিরেই ওই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৭ অক্টোবর ২০২৪