কচুয়া রাগদৈল গ্রামে ভূমির মালিকানা নিয়ে টানাটানি শেষ হবে কবে
কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউনিয়নের রাগদৈল মৌজার ৪৬৫ নং বিএস খতিয়ানের ১৭০ নং দাগের ২৩ শতক ভ‚মি হতে ৪ দলিলে সোয়া ৩৮ শতক ভ‚মি হস্তান্তর হওয়ার পরেও ৬.৭৮ শতক ভ‚মির বৈধ দাবিদার অবশিষ্ট রয়ে গেছে!
উক্ত মৌজার মরহুম সেকান্দর আলীর ৩ পুত্র মো: আব্দুল মোতালেব, মো: আব্দুল মান্নান, ও মো: আব্দুল কাদের ওয়ারিশ হয়ে তাদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি মৌখিক ভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে ভোগ দখল করে আসছেন।
তেমনি রাগদৈল মৌজার ৪৬৫ নং খতিয়ানের ১৭০ নং দাগের ২৩ শতক জমি ৭.৬৬ শতক হারে ৩ ভাই মালিক হন। ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হইয়া আব্দুল কাদের তার চার পুত্রকে ৬.৫০ শতক জমি হেবা করে দেন। আব্দুল মান্নানের পুত্র তাজুল ইসলাম পৈত্রিক সুত্রে মালিক হইয়া মো: শাহ আলম মজুমদারের নিকট ৩ শতক জমি বিক্রি করেন, দলিল নং ২০২৮।
এ দিকে আব্দুল মোতালেবের ৬ ছেলে ৪ মেয়ে উক্ত খতিয়ানের উলেখিত দাগের ২৩ শতক জমি হতে ৭.৬৬ শতকের মধ্যে প্রতি ভাই ০.৯৫৮ শতক, প্রতি বোন ০.৪৭৯ শতক হারে জমির মালিক হয়ে ৪ বোন মিলে যথা ক্রমে ১। মজিয়া বেগম, ২। রোকেয়া বেগম,৩। মোসাম্মদ রোকসানা বেগম, ৪। মোসাম্মদ জোৎস্না বেগম ০.৪৭৯দ্ধ৪=১.৯১৬ শতক জমির মালিক হয়ে তাদের-ই এক ভাই মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে হেবা করে দেয়ার সুযোগ থাকলেও তারা ৪ বোন মিলে ১৭.৫০ শতক জমি হেবা করে দেন। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বোনদের হেবা করা দলিল ম‚লে মালিক হয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তারকে ১৫.৫০ শতক জমি হেবা করে দেন।পক্ষান্তরে জনাব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ২৩ শতক ভ‚মির অন্দরে হেবা ও ওয়ারিশ সূত্রে ২.৮৭ শতক জমির বৈধ মালিক হন। পরে তিনি তার স্ত্রির নামে হেবা করা জমি স্ত্রী সালমা আক্তারের নামে নাম জারিও করে নেন।
অপর দিকে আব্দুল মোতালেবের আর এক পুত্র মো: আবু তাহের মজুমদার তার অন্য ৩ ভাই যথাক্রমে ১। মো: শাহ আলম মজুমদার, দলিল নং ৬২০৪ ২। মো: এরশাদ দলিল নং ১০৫৯০ ৩। মো: মফিজুল ইসলাম মজুমদার রিপন দলিল নং ৬৩০০ থেকে সোয়া ৮ শতক হেবা মলে জমির মালিক হয়ে নিজের প্রাপ্ত হিস্যা ৩ শতকসহ মোট সোয়া ১১ শতক জমি তার স্ত্রী জাবিন খানের নামে হেবা করে দেন। জাবিন খান তার স্বামী কর্তৃক হেবা সূত্রে মালিক হইয়া সোয়া ১১ শতক জমির নাম জারি করতে গেলে জানতে পারেন যে, ১৭০ নং দাগে সালমা আক্তারের নামে ১৫.৫০ শতক জমি নাম জারি করা হযে আছে! পরে সালমা আক্তারের নতুন খতিয়ানের বিরুদ্ধে জাবিন খানের অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন খতিয়ান থেকে তার স্বামী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বৈধ মালিকীয় ২.৮৭ শতক রেখে বাকী অংশটুকু ৪৬৫ নং খতিয়ানে ফেরত নিয়ে যান। ৪৬৫ নং খতিয়ানের ১৭০ নং দাগের ২৩ শতক ভুমির অন্দরে ৪ দলিলে সোয়া ৩৮ শতক জমি হস্তান্তর হওয়ার পরেও আব্দুল কাদেরের ওয়ারিশরা ১.১৬ শতক, আব্দুল মান্নানের ওয়ারিশরা ৪.৬৬ শতক ও আব্দুল মোতালেবের এক ছেলে মো: নুরুল ইসলাম ০.৯৫৮ শতক ভূমির বৈধ দাবিদার রয়ে গেছে। প্রতিবেশীদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, তারা দুই ভাই দুই বউয়ের নামে অনধিকার চর্চা করে জমি হেবা করে মালিক বানিয়ে দিযে তাদের ভাইদের মাঝে অনৈক্যের সৃস্টি করেছে। জমির পরিমানের প্রায় দুই গুণ কাগজে কলমে হস্তান্তর করা হলেও প্রকৃক মালিকরা বি এস খতিয়ান মূলে তাদের মালিকানা বুঝে নিতে চাইলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো!
আর এক প্রতিবেশী বলেন, পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে ভূমি অফিস, ভূমি অফিস থেকে এসি ল্যান্ড অফিস, এসি ল্যান্ড অফিস থেকে চেয়ারম্যান অফিস, চেয়ারম্যান অফিস থেকে কোর্টে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে তাদের অর্থশক্তি কমলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কচুয়া প্রতিনিধি/
৮ অক্টোবর ২০২৫