কচুয়া বিতারায় ব্রীজ ও রেলিং ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে যাত্রীরা

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তেগুরিয়া-বাইছারা সড়কের বিতারা বাজার সংলগ্ন খালের উপর ব্রীজ মাঝামাঝি ফুটো হওয়ায় এবং ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় যাত্রী ও এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ব্রীজের মাঝখানে বিশাল আকৃতির ফুটো হওয়ায় বিভিন্ন যান চালকরা বিপাকে পড়েছেন প্রতিনিয়ত। এতে দীর্ঘ সময় ধরে যানযট লেগে থাকে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে।

বিশেষ করে কচুয়ার তেগুরিয়া, শিমুলতলী, বিতারা, বাইছারা, দূর্গাপুর, অভয়পাড়াসহ পাশ^বর্তী চান্দিনা উপজেলার যোগাযোগের সংযোগ রয়েছে, কিন্তু এ ব্রীজটি একমাত্র যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। ফলে দুর-দূরান্ত থেকে যাত্রী, চালক ও পথচারীরা এ ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু ব্রীজের রেলিং ও ফুটো হওয়ায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে এলজিইডি’র আওতায় এ ব্রীজটি নির্মা করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রীজের নাকাল অবস্থায় থাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে কয়েকবার মেরামত করা হয়। পরক্ষনে তা বেশিদিন ঠিকেনি। ব্রীজের রেলিং ও ফুটো থাকায় অনেক সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিপাকে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। এতে করে যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক এবং ট্রাকে থাকা পণ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। ব্রীজের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এ সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সিএনজি চালক আবুল হোসেন,মফিজ ও ট্রাক চালক মবিন ও আলমগীর মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ব্রীজের রেলিং নেই, তাছাড়া ব্রীজের মাঝখানে বিশাল আকৃতির ফুটো রয়েছে। আমরা গাড়িগুলোকে সাইড দিতে পাারছি না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ ব্রীজের উপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবি জানান চালকরা।

স্থানীয় অধিবাসী আলহাজ্ব মোসলেম মোল্লা, ছাদেক বেপারী, ইসমাইল মোল্লা, আমির হোসেন, আকতার বেপারীসহ একাধিক লোকজন জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ ব্রীজের বেহাল দশা। গ্রামবাসীর উদ্যোগে আমরা কয়েক বার ব্রীজের বিভিন্ন স্থানে মেরামত করেছি। তাতেও কোনো ধরনের চলাচলের উপযোগী হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কয়েকবার অবগত করলেও কোনো সুরাহ হয়নি। জনস্বার্থে অতি দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণে স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, কচুয়াতে পূর্বে এমন অনেক ব্রীজ চলাচলের অনুপযোগী ছিলো। ব্রীজগুলো প্রায় অধিকাংশ ৮০ভাগ নির্মানের কাজ হয়েছে। এ উপজেলা দুটি ব্রীজ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে বিতারা বাজারের নতুন ব্রীজ নির্মানে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৯ আগস্ট ২০২৩

Share